ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২

৬টির বেশি প্যারাসিটামল খেলেই বিপদ! লিভার-কিডনির ক্ষতি নিশ্চিত?

লাইফ স্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ১৫:৪২:০৭
৬টির বেশি প্যারাসিটামল খেলেই বিপদ! লিভার-কিডনির ক্ষতি নিশ্চিত?

বর্ষার খামখেয়ালী আবহাওয়ার জেরে ঘরে ঘরে এখন জ্বর-জ্বর ভাব। এই সুযোগে বেশ কিছু ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যার দরুন জ্বরের প্রকোপও বেড়েছে। আর এই শারীরিক অস্বস্তি কমাতে অনেকেই সামান্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেই দ্রুত হাতে তুলে নিচ্ছেন প্যারাসিটামল (Paracetamol)।

কিন্তু চিকিৎসকেরা এই বহুল ব্যবহৃত ওষুধটির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ে কড়া সতর্কতা জারি করেছেন। তাঁদের মতে, প্যারাসিটামল অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

সীমা লঙ্ঘন করলেই বিপদ: লিভার ও কিডনির ক্ষতি কি নিশ্চিত?

প্যারাসিটামল ওষুধটি সাধারণভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত হলেও, মাত্রাতিরিক্ত সেবনই মূল চিন্তার কারণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ওষুধ বেশি খেলে তা সরাসরি লিভার (যকৃত) ও কিডনিকে (বৃক্ক) প্রভাবিত করে। অতিরিক্ত সেবনের ফলে এই অঙ্গ দুটির ড্যামেজ হবার বা মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।

এছাড়াও পেটের গন্ডগোল বা হজমজনিত সমস্যাতেও ভুগতে পারেন অনেকে। শুধু তাই নয়, গবেষণা বলছে, ঘন ঘন প্যারাসিটামল খাওয়ার অভ্যাসের কারণে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (Gastrointestinal), হার্ট (হৃদযন্ত্র) এবং কিডনির অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বিশেষত ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্যারাসিটামল সেবন এই জটিলতাগুলিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

জ্বর কমলে কখন ও কতগুলি প্যারাসিটামল নিরাপদ?

তবে প্রশ্ন হল, জ্বর নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দিনে ঠিক কতগুলি প্যারাসিটামল সেবন করা উচিত? চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে সঠিক পদ্ধতি জানুন:

বিশ্রামই প্রাথমিক চিকিৎসা: সব জ্বরের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল খাওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি দেহের তাপমাত্রা ১০১° F (বা ৩৮.৩°C) এর নীচে থাকে, তবে ওষুধ না খেয়ে কেবল বিশ্রাম নেওয়া ও পর্যাপ্ত জল পান করাই শ্রেয়।

সর্বোচ্চ সীমা: নিতান্ত প্রয়োজন হলে একজন ব্যক্তি সারাদিনে সর্বোচ্চ ৬টি প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। তবে এই সীমা অতিক্রম করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সময় ব্যবধান: প্রতিটি ডোজের মধ্যে অবশ্যই ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার একটি বিরতি বজায় রাখা প্রয়োজন।

স্বাভাবিক মাত্রা: সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শে দিনে ৪টি প্যারাসিটামল খেলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে জ্বর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

চিকিৎসকেরা জোর দিয়ে বলছেন, ৬টি প্যারাসিটামল খাওয়ার পরেও যদি জ্বর নিয়ন্ত্রণে না আসে বা একান্তই না কমে, তবে আর ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যদিও প্যারাসিটামল চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই কেনা যায়, তবে অতিরিক্ত সেবনের ক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনা থাকায় সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।

আল-মামুন/

ট্যাগ: প্যারাসিটামল কতগুলো খাওয়া উচিত প্যারাসিটামল খাওয়ার নিয়ম দিনে কটা প্যারাসিটামল খাওয়া নিরাপদ প্যারাসিটামলের সর্বোচ্চ ডোজ প্যারাসিটামল বেশি খেলে কি হয় প্যারাসিটামল খেলে লিভারের ক্ষতি প্যারাসিটামল কিডনির ক্ষতি ঘন ঘন প্যারাসিটামল খাওয়া প্যারাসিটামল কখন খাওয়া উচিত জ্বর কমানোর ওষুধ জ্বর এলে কি করবো জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় ১০১ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয় ভাইরাল ফিভার চিকিৎসা জ্বর হলে বিশ্রাম ঔষধ না খেয়ে জ্বর কমানো শরীরের ম্যাজম্যাজ ভাব গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা প্যারাসিটামল চিকিৎসকের পরামর্শ প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়ার সতর্কতা প্যারাসিটামল সতর্কতা ওভারডোজ প্যারাসিটামল

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ