রেফারি ও নেপালের ফুটবলারদের নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশের কোচ অস্কার ব্রুজন

ফাইনালের কাছে গিয়েও হতাশার বিদায় নিশ্চিত হওয়া বাংলাদেশের এতে সাফ দুঃখ আরও বাড়ল। ২০০৫ সালে সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টে একমাত্র শিরোপা জয় তারও দুই বছর আগে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে জিকোর ওই লাল কার্ডটাই ফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে দিয়েছে বাংলাদেশকে। জিকোর লাল কার্ডটি রাকিব হাসানের ভুলের খেসারত। মাঝমাঠ থেকে বল বাতাসে ভাসিয়ে ব্যাক পাস করেন রাকিব। দিয়েছিলেন গোলরক্ষক জিকোকে। কিন্তু ভুল পাসটা ছিল ডি-বক্সের অনেকটা উপরে। বল পেতে যাচ্ছিলেন অঞ্জন বিষ্টা। জিকো ডি-বক্সের বাইরে ছুটে এসে বল ক্লিয়ার করতে জান। দুর্ভাগ্যবশত বল হাতে লাগে বাংলাদেশি গোলরক্ষকের। সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। রাকিবের ভুলে সর্বনাশ যা হবার তখনই হয়ে যায়।
ম্যাচ শেষে সংবাদসম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ অস্কার ব্রুজন হতাশা ঝাড়লেন। নিজের আক্রোশের কথা বললেন, বললেন ষড়যন্ত্রের কথাও। বললেন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত কেবল ওই পেনাল্টিটা নয়, সঙ্গে জিকোকে সরাসরি লাল কার্ড দেখানোটাও।
অস্কার ব্রুজন বলেন, 'আপনারা কেবল একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কথা বলছেন, পেনাল্টি নিয়ে। কিন্তু আমার মনে হয় পেনাল্টিই ম্যাচের মোড় ঘুরানোর জায়গা ছিল না। আমি বলবো জিকোকে লাল কার্ড দেখানোটাই ম্যাচের মোড় ঘুরানোর জায়গা ছিল। কিন্তু জিকো ইচ্ছাকৃতভাবে বল হাত দিয়ে রুখে দেয়নি। বল প্রথমে তার পায়ে লাগে এবং উপরে উঠে যাওয়ার সময় হাতে লাগে। আমার মনে হয়েছে এই সিদ্ধান্তটিও বিতর্কিত।'
৮৮ মিনিটে রেফারিংও হলো বাংলাদেশের বিপক্ষে। ডি-বক্সে অঞ্জন বিষ্টাকে হেড নিতে বাধা দিয়েছিলেন সাদ উদ্দিন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অঞ্জনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা মেলে সাদ আসলে তাকে ধাক্কায় দেননি। প্রশ্নবিদ্ধ পেনাল্টিতে গোল করতে ভুল করেননি অঞ্জন। জেতার সমীকরণ মেলাতে বাকি কয়েক মিনিটে গোল আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ।
রেফারির এমন সিদ্ধান্তে অস্কার ব্রুজন খুঁজে পেয়েছেন অদৃশ্য শক্তির হাত। তিনি বলে, 'জিকোর লাল কার্ড প্রথম বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ছিল। এরপর শেষ দিকে এসে পেনাল্টিটা ছিল আরও বড় বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকে আমাদের বিপক্ষে অদৃশ্য শক্তি কাজ করে আসছে। ম্যাচের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রেফারি ৩০ গজ দূর থেকেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছে।'
কেবল রেফারিরই সমালোচনা করেননি বাংলাদেশ কোচ, সেই সঙ্গে এক হাত নিয়েছেন নেপালের খেলোয়াড়দেরও। নেপালের খেলোয়াড়দের প্রতারক হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন ৪৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ।
ব্রুজন বলেন, 'নেপালের খেলোয়াড়রা প্রতারণা করেছে। তারা ডি-বক্সের ভেতর ডাইভ দিয়েছে। আর রেফারি এটা নিয়ে কোনো প্রকার সন্দেহও প্রকাশ করেনি কারণ তারা চায়নি বাংলাদেশ ফাইনালে খেলুক।'
হতাশ হলেও বাংলাদেশ যে সামনে আরও ভালো করবে সেটার আশা করেছেন অস্কার ব্রুজন।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন