ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষ হলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশালের মধ্যকার ম্যাচ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ ফেব্রুয়ারি ০১ ২১:১৯:৫১
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষ হলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশালের মধ্যকার ম্যাচ

চট্টগ্রামের ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইল জ্যাকসকে এলবিডব্লিউ করেন মুজিব উর রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে সাকিবের বলে বোল্ড হন আফিফ। ৩০ বলে ২৯ রানের ধীরগতির ব্যাটিং করেন শামীম।

আফিফ ও শামীমের বিদায়ের পর চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বস নামে। ১১ রানের ভেতর পাঁচটি উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। নাঈম ইসলাম ও আকবর আলি গোল্ডেন ডাকের শিকার হন। বেনি হাওয়েল করেন ৪ বলে ১ রান। সাকিবের বলে বিতর্কিত এলবিডব্লিউ হন নাঈম। একই ওভারে হাওয়েল ও আকবরকে বোল্ড করেন মুজিব। ৮১ রানে ৬ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।

সপ্তম উইকেটে ১৫ রানের জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। সাকিব নিজের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসেই ওয়ালটনকে বোল্ড করেন। আটে নামা মিরাজ লড়াই করেন ব্যাট হাতে। ডোয়াইন ব্রাভোর এক ওভারে দুইটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকানোর পর বোল্ড হন তিনি। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও।

এক চার ও এক ছক্কায় ৩ বলে ১০ রান করে ম্যাচ জমিয়ে দিয়ে ক্যাচ আউট হন শরিফুল। দুই বল বাকি থাকতেই চট্টগ্রাম অল-আউট হয় ১৩৫ রানে। সাকিব ও মুজিব তিনটি করে উইকেট নেন। ব্রাভো ও রানা পান দুইটি করে উইকেট। বরিশাল জিতেছে ১৪ রানে।

তার আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বরিশাল। ক্রিস গেইলের সাথে ওপেন করে মুনিম শাহরিয়ার। ২ বলে ১ রান করে আউট হন মুনিম। দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ রানের জুটি গড়েন গেইল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন ছক্কা ও এক চারে ১৯ বলে ২৫ রান করে মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন গেইল।

বিতর্কিত এডিআরএসের মাধ্যমে আউট হন শান্ত। মাঠের আম্পায়ার আউট না দিলেও টিভি আম্পায়ার ক্যাচ আউট। মাঠে থাকা সাকিব আল হাসানের সাথে আম্পায়ারের বেশ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ২৯ বলে ২৮ রান করেন শান্ত। চতুর্থ উইকেটে সাকিবের সাথে ৫৫ রানের জুটি গড়েন তৌহিদ হৃদয়। তিনি হাঁকান দুইটি ছক্কা।

ব্যাট হাতে অধিনায়ক সাকিব সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন। ৩০ বলে অর্ধশতক হাঁকান তিনি। বাঁহাতি স্পিনারের নাসুমের টানা তিন বলে সাকিব হাঁকান তিনটি ছক্কা। তবে অর্ধশতক স্পর্শ করেই সাকিব বিদায় নেন মৃত্যুঞ্জয়ের শিকার হয়ে। সাকিবের ইনিংসে ছিল তিনটি করে ছক্কা ও চার।

অধিনায়কের বিদায়ে বরিশালের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ছেদ পড়ে। এক ওভারেই নুরুল হাসান সোহান, ইরফান শুক্কুর ও মুজিব উর রহমানকে শিকার করেন মৃত্যুঞ্জয়। শেষ ওভারের প্রথম বলেই রান-আউট হন শফিকুল ইসলাম। ১৪৯ রানে অল-আউট হয় বরিশাল।

বরিশাল শেষ ২৯ রানে হারায় ৭টি উইকেট। ১৬ ওভার শেষেও যখন মনে হচ্ছিল বরিশালের স্কোরকার্ড বেশ প্রশস্ত হবে, তখনই আঘাত হানেন বিপিএল অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়া মৃত্যুঞ্জয়। ২ ওভারে ১২ রান খরচ করেন চারটি উইকেট পান তিনি। ৯ রানের বিনিময়ে শরিফুল পান দুইটি উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফরচুন বরিশাল ১৪৯/১০ (১৯.১ ওভার)

সাকিব ৫০, শান্ত ২৮, গেইল ২৫;

মৃত্যুঞ্জয় ৪/১২, শরিফুল ২/৯।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৩৫/১০ (১৯.৪ ওভার)

আফিফ ৩৯, শামীম ২৯, মিরাজ ২৬, ওয়ালটন ১৬

মুজিব ৩/৯, সাকিব ৩/১০, রানা ২/২১, ব্রাভো ২/৩৫।

ফরচুন বরিশাল ১৪ রানে জয়ী।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ