ঢাকা, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২

ব্রেকিং নিউজ: নিজ থেকে বাংলাদেশের চাকরি ছাড়তে পারেন ডমিঙ্গো, নাও আসতে পারেন টাইগার শিবিরে

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১২:০৬:৪৯
ব্রেকিং নিউজ: নিজ থেকে বাংলাদেশের চাকরি ছাড়তে পারেন ডমিঙ্গো, নাও আসতে পারেন টাইগার শিবিরে

তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তরফে সব গুঞ্জনে পানি ঢেলে বারবার বলা হয়, আপাতত ডমিঙ্গোই থাকছেন। এদিকে, ডমিঙ্গোকে প্রধান কোচের পদে রেখেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বিসিবি। ডমিঙ্গো ছুটিতে থাকলেও তার সঙ্গে জুম মিটিং করেই স্কোয়াড চূড়ান্ত করা হবে বলেও আভাস পাওয়া গেছে।

এছাড়া ঘরের মাঠে আফগানদের বিপক্ষে শুরুর আগে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে ডমিঙ্গোর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশগামী বিমানে চড়বেন কি না সেটিই এখন প্রশ্ন হয়ে সামনে এসেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে আলাপে টাইগার হেড কোচ জানান, ঢাকায় আবারও ফিরবেন কি না নিশ্চিত নন তিনি। বিসিবির চাকরি ছেড়ে দিলেও দিতে পারেন। দেশে কাজ পেয়ে গেলে হয়তো ফিরবেন না আর। এছাড়া তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, আগামী তিন সপ্তাহে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর থেকেই দলে ক্ষমতা কমছিল রাসেল ডমিঙ্গোর। কোচিং প্যানেলে একের পর এক ছাঁটাইয়ে অনেকটা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছিলেন তিনি। তারওপর টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনে কাজ করতে হয়েছে তাকে। এদিকে, বিসিবি নতুন কোচের সন্ধানে রয়েছে, এমন খবরও স্বস্তি দিচ্ছে না ডমিঙ্গোকে। আর তাই হয়ত বিকল্প ভাবনা পেয়ে বসেছে তাকেও।

এদিকে, জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে উড়িয়ে আনা হয়েছে টিম টাইগার্সের সাবেক কোচ জেমি সিডন্সকে। শোনা যাচ্ছে, তাকে আবার পছন্দ না ডমিঙ্গোর। প্রোটিয়া এ কোচ হয়তো বুঝতে পারছেন, একা লড়াই করে হয়ত টিকতে পারবেন না।

তবে আবারও যদি বাংলাদেশে ফেরেন তবে বিসিবির সঙ্গে পূর্ণ ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার দেনদরবার সেরেই আসবেন তিনি। তবে এরই মধ্যে মানসিকভাবে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। জানা যায়, চলতি বিপিএলও ফলো করছেন না তিনি। অথচ কাগজে-কলমে এখনো বাংলাদেশের হেড কোচ তিনি!

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডসকে বিদায় করে ডমিঙ্গোর হাতে দলকে সঁপে দিয়েছিল নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। ২০২৩ সালের মধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর একটি ওডিআই বিশ্বকাপ। ২০১৯ সালের আগস্টে দায়িত্ব পাওয়া প্রোটিয়া কোচের সামনে বড় চ্যালেঞ্জই ছিল।

প্রাথমিকভাবে চুক্তি ছিল ২ বছরের। যার শুরুটা হয় চরম হতাশার মধ্য দিয়ে। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট হেরে বসে বাংলাদেশ দল। এরপর ভারত ও পাকিস্তান সফরেও কিছুই করতে পারেনি তারা। মাঝে করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা সময় খেলা গড়ায়নি মাঠে। তবে খেলা মাঠে ফিরলেও ডমিঙ্গোর অধীনে সুদিন ফেরেনি টাইগারদের।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ