ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

বাংলা টাইগার্স এর পক্ষে দেওয়া অঙ্গীকারগুলো পূরণ করতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে বিসিবির

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ ফেব্রুয়ারি ২১ ১১:২৪:২৪
বাংলা টাইগার্স এর পক্ষে দেওয়া অঙ্গীকারগুলো পূরণ করতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে বিসিবির

তবে এই প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্যই হলো জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটার এবং ভবিষ্যতে জাতীয় দলে সুযোগ পেতে পারে এমন ক্রিকেটার ,কিংবা ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে গিয়েছে এসব ক্রিকেটারদের প্রস্তুত রাখা। অর্থাৎ দেশকে ভবিষ্যতে সার্ভিস দিতে পারে এমন ক্রিকেটারদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে বাংলা টাইগার্স।

সারা বছরই এ প্রোগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে বিসিবি। এমনকি বিদেশে টুর দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বিসিবির। অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে ক্রিকেটাররা অনুশীলনের সুযোগ পেলে তা নিশ্চয়ই তাদের কাজে দিবে।

এসব পরিকল্পনা প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন কাজী ইনাম আহমেদ, খালেদ মাহমুদ সুজন, নিজাম উদ্দিন চৌধুরীরা। তবে এই প্রোগ্রাম শুরু করার চেয়ে তা চালিয়ে যাওয়া নির্দ্বিধায় অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে বিসিবির জন্য। সারা বছর এই ধরনের একটি প্রোগ্রাম চালাতে বেশ মোটা অংক খরচ করতে হবে বিসিবির। পাশাপাশি সঠিক কোচ এবং ম্যানেজমেন্ট নির্বাচন করাও বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। ৯ কোচ নিয়ে এবারের কার্যক্রম শুরু করছে বাংলা টাইগার্স।

৯ কোচের সবাই দেশি হলেও ভবিষ্যতে বিদেশি কোচদের আনার পরিকল্পনা আছে বিসিবির। ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলা টাইগার্স। যেখানে: মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, মেহেদি হাসান রানা, জাকির হাসান এর মতো তরুণদের পাশাপাশি নাহিদুল ইসলাম নাজমুল ইসলাম অপু ইমরুল কায়েস এনামুল হক এর মতো অভিজ্ঞরা ও জায়গা করে নিয়েছে।

জাতীয় দলের খেলা থাকায় অধিকাংশ তারকা খেলোয়াড়ই বর্তমানে দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেনি। তবে জাতীয় দলের খেলা না থাকলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরও এ প্রগ্রামে যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ জাতীয় দল সহ মোট ৪০ থেকে ৫০ জন ক্রিকেটার কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য সবসময় প্রস্তুত রাখাই এ প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য।

তবে নিয়মিত বিদেশে টুর কিংবা ভালো বিদেশি কোচ না আনতে পারলে এ প্রোগ্রামটি পুরোপুরি সফল হবেনা। বিসিবির জন্য এ কাজটির হবে সবচেয়ে কঠিন। তবে শোনা যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াতে টু্র করার ব্যাপারে কথাও চালাচ্ছে বিসিবি। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পাইপলাইন শক্ত করার ব্যাপারে এই প্রোগ্রামটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। তবে শুরু করা এ প্রোগ্রামকে চালিয়ে নেওয়াই হবে বিসিবির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ