ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

বোর্ড-সাকিব দুজনের মাঝে অদৃশ্য দেয়াল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ মার্চ ০৮ ২০:২৩:১১
বোর্ড-সাকিব দুজনের মাঝে অদৃশ্য দেয়াল

সাকিব বলেন"আফগানিস্তান সিরিজের পর আমি বেশ কিছু সময় ধরে চিন্তা করেছি এবং এ সিদ্ধান্তে এসেছি। আমি যখন ক্রিকেট উপভোগ করতে পারিনা তখন এটা আমার জন্য খুবই দুঃখজনক। এবং আমি কখনোই এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে চাই না। পারফরম্যান্স খারাপ কিংবা ভালো হতেই পারে তবে আমার বর্তমান যে অবস্থা আমি ক্রিকেট খেলার জন্য মানসিকভাবে পুরোপুরি ফিট নই।

পরবর্তীতে শাকিবের এ সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে বোর্ড প্রেসিডেন্ট পাপনও একটি প্রেস কনফারেন্স করেন। বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন এবং সাকিব আল হাসানের গণমাধ্যমে দেওয়া দুটি সাক্ষাৎকার বর্তমানের টক অফ দা কান্ট্রি। ব্যাপারটা সত্যি যথেষ্ট বিস্ময়কর বিসিবির মত পেশাদার একটি বোর্ড এবং সাকিব আল হাসানের মতো পেশাদার একজন ক্রিকেটার কেনো একে অপরের সাথে সরাসরি কথা না বলে গণমাধ্যম এর মাধ্যমে বলতে যাবেন।

সাকিব এবং বিসিবি বসের সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট যে এ ব্যাপারে দুজনের মধ্যে কোনো কথা হয়নি। বরং বিসিবির ডাইরেক্টর জালাল ইউনুস এর মাধ্যমে সাকিবের আপডেট নিয়েছেন পাপন। এখন প্রশ্ন হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতি নেওয়ার কথাটি সাকিব গণমাধ্যমে বলতে পারলে বিসিবির সাথে কেনো বলতে পারবেনা। কিংবা পাপন ও প্রেস কনফারেন্স করে এসব কথা বলতে পারলে সাকিবকে কেনো একটা ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেনি।

পাপনকে ক্ষোভ করে বলতে শোনা গিয়েছে হুট করে সাকিব সবাইকে এভাবে চমকে দিলে তো আমাদের কাজ করা কঠিন হয়ে যাবে। তিনি বলেন" কোচ এবং অধিনায়ক তো সাকিবের এ সিদ্ধান্তের কথা জানেনই না আমার ধারণা ছিল খালেদ মাহমুদ সুজন হয়তোবা জানলেও জানতে পারেন। পরে সুজন কে জিজ্ঞেস করা হলে সুজনও আকাশ থেকে ভেঙে পড়ে। সুজনের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল সাকিব ওয়ানডে খেলবেন না এটা কেমন কথা"।

অর্থাৎ দুই পক্ষের কথায় পরিষ্কার একজন অপরজনের সাথে যোগাযোগ করেনি কিংবা যোগাযোগ করার প্রয়োজন বোধ করেনি। দেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কিংবা সমস্যা গনমাধ্যমের সামনে নিয়ে আসা কতটুকু ঠিক হচ্ছে। এ ব্যাপার গুলো কি বিসিবি কিংবা সাকিবের নিজেদের মধ্যে রেখে সমাধান করা উচিত ছিল না? তবে বিসিবি সভাপতির একটি কথার সাথে দ্বিমত থাকার অবশ্য খুব একটা সুযোগ নেই।

তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন সাকিবের এ বেপরোয়া আচরণ বোর্ডের পছন্দ হচ্ছে না। কোনো ক্রিকেটার যদি কোনো সময় ক্রিকেট না খেলতে চান কিংবা কোনো নির্দিষ্ট ফরম্যাটে না খেলতে চান তাহলে বোর্ড থেকে তাদের জোর করা হবে না। তবে সেটি নিশ্চয়ই সিরিজের মাঝপথে কিংবা দুদিন আগে জানালে হবে না। নিঃসন্দেহে পাপনের কথাগুলো যথেষ্ট যুক্তি সংগত।

এখানে ভুল ধরার তেমন কোনো সুযোগ নেই তবে কথাগুলো গণমাধ্যমে বলাটা কতটুকু কার্যকরী। কথাগুলো কি সরাসরি সাকিবের সামনে বলা যেত না? অবশ্য বেশ কিছু সময় ধরেই সাকিব এবং বোর্ডের মধ্যে অদৃশ্য একটি দূরত্ব হয়ে গিয়েছে। দু'পক্ষের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয় সেটাই এখন দেখার পালা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ