ঢাকা, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২

মুশফিকের ঘুম, সহ্য হল না সুজনের

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২২ জুলাই ২৫ ২২:১৪:৫৭
মুশফিকের ঘুম, সহ্য হল না সুজনের

দুজনকে বিশ্রাম দেয়া হলেও বলা হচ্ছে কৌশলে বাদ দেয়া হয়েছে দুজনকে। দলের নেতৃত্ব হারানো এবং দলে জায়গা হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার অনুভূতি প্রকাশ না করলেও মুশফিকুর রহিমের একটি ছবি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, অনুশীলন শেষে ড্রেসিং রুমে ঘুমাচ্ছেন মুশফিক।

বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) খোঁচা দিতেই মুশফিকুর এমন একটা ছবি পোস্ট করেছেন। ওই ছবির কমেন্টে অনেকে এমন মন্তব্যও করেছেন।

ওই ছবি প্রকাশের দুইদিন পর আজ বাংলাদেশ দল জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে রওয়ানা করেছে,। যাবার আগে রাজধানীর একটি হোটেলে দলের সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। যেখানে ছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।

মধ্যাহ্নভোজন শেষে খালেদ মাহমুদ গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান ক্রিকেটারদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম নিয়ে। তিনি মনে করছেন, ক্রিকেটাররা এখনও পেশাদার হয়ে ওঠেনি।

নিজের উদাহরণ টেনে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি যেমন পেশাদার, আমার চাকরির খবর তো বাসায় যায় না বা আমার বাসার খবর তো চাকরির জায়গায় এসে জানাই না যে আজকে আমি আমার বউয়ের সাথে ঝগড়া করে আসছি। এখানে বিষয়টা একই রকম। আমরা কীভাবে পেশাদার হতে পারি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের ক্রিকেট একটা পরিবার, এখানকার কথাগুলো বাইরে যাওয়াটাও একটা ভুল বার্তা দেয়। সেটা যে-ই দিচ্ছে বা যারা-ই দিচ্ছে, এটা ভালো না, স্বাস্থ্যকর না। আমরা এসব নিয়েও কথা বলেছি। আমার মনে হয় যে এটা আমাদের সময় যে সংস্কৃতি গড়ে তোলা।’ খারাপ কিংবা ভালো সময়ে নিজেদের পেশাদার মনোভাব দেখানোর কথা উল্লেখ করে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমি আজকে ছেলেদের একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছি যে পেশাদারিত্ব তৈরি করতে। আমাদের পেশাদার হতে হবে। আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। হ্যাঁ, আমাদের অনেকের মন খারাপ হতে পারে। বাদ পড়লে মন খারাপ হবে স্বাভাবিক। দলে ঢুকলে মন খুশি হয়। ভালো খেললে ভালো লাগে, খারাপ খেললে খারাপ লাগে। ক্রিকেট একটা মনস্তাত্ত্বিক খেলা, এখানে সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপটা আসে।

আমরা কেন ভালো খেলি না? মানসিক দৃঢ়তার কারণেই তো এমন হয়? আমার কথা হচ্ছে, যতদিন পর্যন্ত এসব সংস্কৃতি আমরা তৈরি করতে পারব না, ততদিন পর্যন্ত ভালো একটা দল হয়ে উঠতে পারব না।’ খালেদ মাহমুদ বলেন যাদেরকে তরুণরা দেশের আইকন হিসেবে নেয় তারা যেন আরও দায়িত্বশীল হয়।

‘মানুষই তো ভুল করে, ভুল থেকে শেখে। আমি মনে করি, আজকের পর থেকে এগুলো আর হবে না। সবাই দায়িত্বশীল, যারাই বাংলাদেশ দলে খেলে। তারা দেশের ক্রিকেটের আইকন, দেশের আইকন। যেমন নুরুল হাসান সোহানকে শুধু দেশে না, দেশের বাইরেও মানুষ চেনে। সুতরাং, তারা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে বুঝবে। খেলাটা শুধু মাঠের না, মাঠের বাইরেও অনেক খেলা আছে। সে জায়গাগুলোতেও আমাদের ভালোভাবে সামলে নিতে হবে, খুব সাবধানে সামলাতে হবে।’

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ