মাহমুদউল্লাহ কে বিশ্ব কাপে বাদ দেয়াটা বাংলাদেশ জন্য কতোটা ভালো

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় নামগুলোর একটি। ২০০৫ সালের পর দেশের ক্রিকেটের যে পরিবর্তন শুরু হয় তার অন্যতম কারিগর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিব্ তামিম মুশফিকদের মতো হয়তো অনেক রান করেন নি তাই বলে তার অবদান কে ছোট করার কোনো কারন নেই। কারন উপরের তিন জনের মত তিনি টপ অর্ডারে ব্যাট করার খুব একটা সুযোগ পাননি।বেশির ভাগ ম্যাচেই তিনি হয়তো ইনিংস মেরামত করছেন। কখনো কখনো হয়তো দলকে ভালো পুঁজি এনে দিতে দ্রুত রান তুলেছেন। আর এই ফিনিসিং করাটা অন্যতম একটা কঠিন কাজ। যা রিয়াদ করেছেন বছরের পর বছর। তবে টপ অর্ডারে সুযোগ পেলেও তিনি খুব একটা খারাপ করেননি। তারপরও কোনো এক রহস্য জনক কারনে টপ অর্ডারে নিয়মিত হতে পারেননি।
বাংলাদেশের অনেক জয়ে তার অবদান শিকার করতেই হবে। ৫০ টেস্ট ২৯০০ বেশি রান ২০৬ ওয়ানডেতে ৪৫০০ উপরে রান করেছেন তিনি। টি টুয়েন্টিতে ২০০২ রান করে আছেন দেশের মধ্যে সবার উপরে। বল হাতেও তার ভুমিকা ছিলো যথেষ্ট।
তাহলে এমন একজন খেলোয়ার কে বিশ্ব কাপের মত বড় আসরের আগে দল থেকে বাদ দেয়াটা কতোটা যৌক্তিক? বিসিবির অজুহাত মাহমুদউল্লাহ ফর্মে নেই।গত এক বছরে তার স্ট্রাইক রেট ১০০ আশেপাশে। তাহলে গত একবছরে টি টুয়েন্টিতে বাংলাদেশ কোন খেলোয়াড় ভালো ফর্মে আছে। ১৪০ স্ট্রাইক রেট কার আছে? বিসিবি একজনকেও হয়তো দেখাতে পারবে না। তাহলে কোন যুক্তি তে বাদ পরলেন মাহমুদউল্লাহ?যেখানে কোথার পারফরম্যান্স না করেই জাতীয় দলে আছেন শান্ত সৌম্য সাব্বির ইয়াসির আলীরা?
বিশ্ব কাপের মতো বড় আসরে অভিজ্ঞতার একটা মুল্য আছে। তাহলে কোন যুক্তিতে দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় টিকে ছেঁটে ফেলে দিলো বিসিবি। স্ট্রাইক রেট যদি মুল কারন হয় সে্ক্ষেত্রে মাহমুদউল্লাহর পক্ষেও যুক্তি দাড় করানো যায়।
বাংলাদেশ বেশিরভাগ ম্যাচই খেলে মিরপুরে। যেখানে ১৩০-১৪০ রান উইনিং রান হিসেবেই ধরা হয়। গত বছর অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি টুয়েন্টি সিরিজে এমনই দেখা গেছে। সেই দুই সিরিজে মোট ৭ টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। তবে সেই ম্যাচ গুলোতে মাহমুদউল্লাহ বেশির ভাগ ম্যাচেই দলের হাল ধরেছেন। ১০০ আশেপাশে স্ট্রাইক রেটেই তিনি রান করেছেন।কিন্তুুু সেই সময় তো তাকে রীতিমতো হিরো বানিয়ে ফেলেছিল বিসিবি। এখন কেনো দল থেকে বাদ পরলো?
আসলে মিরপুরের মতো পিচে খেলিয়ে ১৫০ স্ট্রাইক রেট আশা করাটা বোকামি। আর এই ধরনের পিছে নিয়মিত খেলে দেশের বাহিরে গিয়ে বড় শট খেলার কনফিডেন্স আমাদের খেলোয়াড়দের থাকে না। তার জলন্ত উদাহরণ চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজের দুইম্যাচ। পুরোপুরি ব্যাটিং পিচেও বাংলাদেশের ব্যাটাররা বড় শট খেলতে পারেন না।
মাহমুদউল্লাহ অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকতে পারে। তবে খেলোয়াড় হিসেবে দলকে দেয়ার অনেক কিছু এখনও বাকি আছে তার। বিশ্ব কাপে কি এখনো বিসিবি তাকে আরও একটা সুযোগ দিতে পারে না?
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- এশিয়া কাপ 2025 : বাংলাদেশের চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি