জেনেনিন বিশ্বকাপ শেষে কোটি কোটি টাকার স্টেডিয়াম গুলোর কি করা হয়

ধারণা করা হচ্ছে ২১০ বিলিয়ন ডলার এই বিশ্বকাপে খরচ করেছে কাতার! অধিকাংশ টাকাই খরচ হয়েছে স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজে, এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে বিশ্বকাপ শেষে এইসব স্টেডিয়ামের এখন কি হবে? ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ রাশিয়া বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্মাণ করেছিল ৯টি স্টেডিয়াম। পাশাপাশি সংস্কার করা হয়েছিল আরও তিনটি স্টেডিয়ামের।
তবে বিশ্বকাপ শেষে লাভের মুখ দেখেছে মাত্র একটি স্টেডিয়াম। ওই স্টেডিয়ামে কনসার্ট বিয়ের অনুষ্ঠান ইত্যাদির জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। বাকি ১১ টি স্টেডিয়াম একপ্রকার বেকারই বসে রয়েছে। কিছু কিছু স্টেডিয়ামে স্থানীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত করা হলেও ধারণ ক্ষমতার ১৫ শতাংশও পূরণ হয় না। অর্থাৎ কোটি কোটি টাকার স্টেডিয়াম দিনশেষে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
২০১৪ সালের আয়োজক দেশ ব্রাজিলেরও অবস্থা প্রায় একই রকম। বিশ্বকাপ উপলক্ষে বারটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছিল ব্রাজিল। বিশ্বকাপ শেষে স্টেডিয়াম গুলো স্থানীয় খেলার জন্য ব্যবহার করা হলেও খালি থেকে যায় হাজার হাজার আসন। অধিকাংশ স্টেডিয়ামে আসন সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশের বেশি পূরণ হয় না। স্টাডিও নেসিওনলের স্টেডিয়ামটির চত্বরকে তো বাস ডিপো হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
অপরদিকে আরেক স্টেডিয়াম এরেনা দাসতুনাসকে ভাড়া দেওয়া হয় বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা কনসার্টের জন্য। এছাড়া ২০১০ বিশ্বকাপের আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকাও বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে স্টেডিয়াম গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছে না। ২০১০ বিশ্বকাপের পরে আলোর মুখ দেখেনি কেপটাউন শহরে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম সুন্দর স্টেডিয়াম কেপটাউন স্টেডিয়াম।
এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক স্টেডিয়ামেই ২০১০ বিশ্বকাপের পর আর কোনো ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। অর্থাৎ বিগত বিশ্বকাপের আয়োজক রাষ্ট্রগুলো বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে স্টেডিয়াম গুলোকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে পূর্বসূরীদের ভুল দেখে শিক্ষা নিয়ে ভিন্ন পথে হেটেছে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার। স্টেডিয়াম নির্মাণের আগেই বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে যাতে কাজে লাগানো যায় সেই পরিকল্পনা মাথায় রেখেই স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়।
পর্যটন এবং বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে স্টেডিয়ামগুলো। লুসাইল স্টেডিয়ামের আসনগুলো সরিয়ে ক্যাফেটেরিয়া দোকানপাট এবং হাসপাতালের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে। এছাড়াও বাকি স্টেডিয়াম গুলোর আসন সংখ্যা কমিয়ে ফুটবল ম্যাচের জন্য রেখে দেওয়া হবে। অস্থায়ীভাবে নির্মিত নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামটি ভাড়া দেওয়া হবে অন্য কোনো দেশকে। অর্থাৎ পূর্বসূরীদের ভুল পথে পা বাড়াননি কাতার। বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ও যাতে অবকাঠামোগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় সেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ 2025 : বাংলাদেশের চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করলো বিসিবি
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি