হল্যান্ডের পাঁচ গোল, ম্যানসিটির গোল উৎসব

গোল উৎসবে হল্যান্ড ইতিহাদের সমর্থকদের উপহার দেন স্মরণীয় এক রাত। একে একে একাই করলেন ৫ গোল। বিরতির আগেই আদায় করে নেন মৌসুমের পঞ্চম হ্যাটট্রিক। ৬৩ মিনিটে কোচ পেপ গার্দিওলা তাকে তুলে না নিলে, বাকি সময়টায় হয়তো গুঁড়িয়ে দিতেন আরও কিছু রেকর্ড।
শুরুতে ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করলেও মাঝে ছন্দ হারিয়ে নিজেকে খুঁজছিলেন হল্যান্ড। এরপর শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে আবার তার নামের পাশে দিয়েছিলেন ‘সাময়িক-চমক’র তকমা। সব কিছুর জবাব দিতে মঙ্গলবারের রাতকে বেছে নিলেন হল্যান্ড। ফুটবলের সবুজ গালিচায় লিখলেন অক্ষয় ইতিহাস। লাইপজিগের জালে ম্যানসিটির ৭ গোলের ৫টি করেছেন তিনি। ম্যাচের অন্য গোল দুটি করেন গুন্দোয়ন ও কেভিন ডি ব্রুইনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল সিটিজেনরা।
এদিকে এফসি পোর্তোর সঙ্গে গোল শূন্য ড্র করে শেষ আটে উঠেছে ইন্টার মিলান। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি।
নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ১-১ গোলে ম্যানসিটিকে রুখে দিলেও ম্যাচের শুরুটা ছিল একপেশে। একের পর এক আক্রমণে লাইপজিগের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখছিল সিটিজেনরা। এরপরও প্রথম গোলের জন্য ম্যানসিটিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২২ মিনিট পর্যন্ত।
নিজেদের ডি-বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করে স্বাগতিকদের পেনাল্টি উপহার দেন হেনরিখস। স্পট কিকে হল্যান্ডের শট রুখতে পারেননি লাইপজিগ গোলকিপার। এর ৭৭ সেকেন্ড পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হল্যান্ড। প্রথমে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডি ব্রুইনার বুলেট গতির শট পোস্টে লেগে ফিরলে ফিরতি বলে হেডে গোল করেন হল্যান্ড।
বিরতিতে যাওয়ার আগে হ্যাটট্রিক ঠিকই পূরণ করেন হল্যান্ড। ডি ব্রুইনার কর্নারে রুবেন দিয়াজের হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন লাইপজিগ খেলোয়াড়। এরপর দৌঁড়ে এসে বলকে জালে পাঠান হল্যান্ড।
বিরতির পর জ্যাক গ্রিলিশের সহায়তায় দলের চতুর্থ গোলটি করেন গুন্দোয়ান। এরপর ৫৩ মিনিটে দলের পঞ্চম ও নিজের চতুর্থ গোলটি আদায় করে নেন হল্যান্ড। এটি ছিল মৌসুমে হল্যান্ডের ৩৮তম গোল। প্রায় একশ বছর আগে ১৯২৮-২৯ মৌসুমে সিটির হয়ে এক মৌসুমে ৩৮ গোল করেছিলেন টমি জনসন।
ম্যানসিটির হয়ে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নিতে হল্যান্ডের সময় লাগে মাত্র ৪ মিনিট। ইতিহাদে উপস্থিত সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে নিজের পঞ্চম গোলটি করেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে এক ম্যাচে ৫ গোল করা তৃতীয় ফুটবলার হলেন হল্যান্ড। এর আগে ২০১২ সালে বেয়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি এবং ২০১৪ সালে বরিসভের বিপক্ষে শাখতার দোনেৎস্কের হয়ে এই কীর্তি গড়েছিলেন লুইজ আদ্রিয়ানো। শেষ মুহূর্তে প্রাপ্য গোলটি আদায় করে নেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ডি ব্রুইনা।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বড় চমক, বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- মালয়েশিয়া প্রবাস: যেভাবে আবেদন করবেন সম্পূর্ণ বিনা খরচে
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: প্রথমার্ধের খেলা শেষ, জানুন সর্বশেষ ফলাফল
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি