এক সিরিজের জন্য ১৫ লাখ টাকা নিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন

বাংলাদেশের ক্রিকেটে খালেদ মাহমুদের নামটি একটি প্রভাবশালী ও পরিচিত অধ্যায় হয়ে উঠেছিল। বিসিবির পরিচালক পদ থেকে তাঁর পদত্যাগের ঘটনা শুধু বিসিবি নয়, পুরো দেশের ক্রিকেট অঙ্গনেই আলোড়ন তুলেছে। প্রায় ১২ বছর ধরে বিসিবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থাকা মাহমুদ ছিলেন একজন সাবেক অধিনায়ক, কোচ এবং ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে উল্লেখযোগ্য। তবে এই দীর্ঘ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল আজ, যখন তিনি তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন।
মাহমুদের পদত্যাগের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। তিনি বিসিবিতে ছিলেন নাজমুল হাসানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, যিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। নাজমুলের সাথে তাঁর সম্পর্ক বরাবরই দৃঢ় থাকলেও, শেষ দিকে কিছু মতবিরোধ দেখা দেয়। বিশেষত, বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদের সংস্কারমুখী নেতৃত্ব এবং স্বার্থের সংঘাত প্রতিরোধের নীতিমালার কারণে বোর্ডে মাহমুদের অবস্থান অনেকটা অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল।
মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে বিসিবির পরিচালক থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় জাতীয় দলের প্রধান কোচ, অন্তর্বর্তীকালীন কোচ, সহকারী কোচ এবং টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঘরোয়া লিগের কয়েকটি বড় দলের কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন, যেমন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম দল আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ। বিসিবির পাশাপাশি তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারও আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। ঘরোয়া ক্রিকেট এবং বিপিএল দলগুলোর কোচ হিসেবে তাঁর প্রভাবশালী ভূমিকার কারণে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।
বিশেষ করে, একাধিক লিগে একাধিক ক্লাবের কোচ হিসেবে কাজ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগও ওঠে। এর পাশাপাশি, প্রভাবশালী দলের কোচ হিসেবে মাঠে আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারিদের ওপর প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগও উঠে।
তাঁর দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে মাহমুদ বিভিন্ন সময় বিসিবির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের সম্মানী গ্রহণ করেছেন। বিশেষত, ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে প্রধান কোচ না থাকায় মাহমুদকেই টিম ডিরেক্টরের ভূমিকা পালন করতে হয়, যার জন্য তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকার সম্মানী পেয়েছিলেন। এর পাশাপাশি ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমান বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদের নীতিমালায় স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। ফলে, বোর্ড পরিচালক পদে থেকে ক্লাব বা বিপিএলে কোচিং করানোর পথ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনাই মাহমুদের পদত্যাগের পেছনে বড় কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মাহমুদের বিদায়ের পর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে তাঁর শূন্যস্থান কীভাবে পূরণ করা হবে। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী এই পদগুলো পূরণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্যদিকে, নাজমুল হাসান এবং শফিউল আলম চৌধুরী এখনও বিসিবির পরিচালক পদে রয়েছেন, যদিও তাঁরা বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এই পরিবর্তনগুলো কেবল ক্রিকেটের প্রশাসনিক কাঠামোকেই প্রভাবিত করছে না, বরং সামনের দিনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ক্রিকেট পরিচালনার পদ্ধতিতেও নতুন ধারা আনতে পারে।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বড় চমক, বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- মালয়েশিয়া প্রবাস: যেভাবে আবেদন করবেন সম্পূর্ণ বিনা খরচে
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: প্রথমার্ধের খেলা শেষ, জানুন সর্বশেষ ফলাফল
- আজকের খেলার সময়সূচি:বাংলাদেশ-মেলবোর্ন ওসিপিএল