এতো অল্প দামে রয়্যাল এনফিল্ড ভাবতে পারেনি কেউ, জেনেনিন ৪টি মডেলের দাম

রয়্যাল এনফিল্ড, যার নাম শুনলেই মোটরবাইকের রাজকীয় গৌরবের কথা মনে আসে, এবার বাংলাদেশেও আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। আজ সোমবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রয়্যাল এনফিল্ডের চারটি মডেলের মোটরবাইকের প্রি-অর্ডার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। একই সঙ্গে দেশের প্রথম রয়্যাল এনফিল্ড শোরুমেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ। ইফাদ গ্রুপই বাংলাদেশের বাজারে রয়্যাল এনফিল্ডের একমাত্র পরিবেশক।
রয়্যাল এনফিল্ডের বাজারে আসার এই ঘোষণার পর থেকেই বাইকপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে ইফতেখার আহমেদ বলেন, “আমরা রয়্যাল এনফিল্ডের মতো একটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ব্র্যান্ডকে বাংলাদেশের বাজারে আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের লক্ষ্য দেশের বাইকারদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা এনে দেওয়া।” তিনি আরও জানান, সারাদেশে ডিলার এবং শোরুম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রয়্যাল এনফিল্ড বাইকগুলোর বিক্রয় এবং সেবা নিশ্চিত করা হবে।
বাংলাদেশের বাজারে রয়্যাল এনফিল্ডের যে চারটি মডেল পাওয়া যাবে, সেগুলো হলো—হান্টার, ক্লাসিক, বুলেট, এবং মিটিওর। এর মধ্যে হান্টারের দাম রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ক্লাসিকের ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা, বুলেটের ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং মিটিওরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বাইকগুলোর মূল্য রং এবং বিশেষ কিছু ফিচারের ওপর নির্ভর করে বাড়তে পারে। আগ্রহী ক্রেতারা আগামীকাল থেকে অনলাইনের পাশাপাশি শোরুম থেকেও প্রি-অর্ডার করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এক বিবৃতিতে বলেন, “রয়্যাল এনফিল্ড বিশ্বব্যাপী মধ্যম ঘরানার মোটরবাইকের বাজারে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাজ্য, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো বিভিন্ন দেশে আমাদের শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে এবং এবার আমরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে বাইকপ্রেমীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা আনতে পেরে উচ্ছ্বসিত।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, নেপালে সংযোজন কারখানা চালুর পর বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করা তাদের আঞ্চলিক সম্প্রসারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এছাড়া, রয়্যাল এনফিল্ডের মোটরবাইকগুলো কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে অবস্থিত সংযোজন কারখানায় তৈরি হবে। এই কারখানায় ৩৫০ সিসি ক্ষমতার হান্টার, মিটিওর, ক্লাসিক, এবং বুলেট মডেলের বাইকগুলো উৎপাদিত হবে। দেশের মোটরসাইকেলপ্রেমীরা রয়্যাল এনফিল্ডের এই মডেলগুলো নিয়ে বেশ আশাবাদী।
বাংলাদেশ সরকার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই রয়্যাল এনফিল্ড নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আজকের প্রি-অর্ডার কার্যক্রম শুরুর ঘোষণার পর বাইকারদের ভিড় লেগে যায়। অনেকেই বাইকগুলো পরখ করার সুযোগ পান এবং এর ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত হন।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: প্রথমার্ধের খেলা শেষ, জানুন সর্বশেষ ফলাফল