আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পাবেন যারা জানালেন তারেক রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মশালার প্রধান বক্তা ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কর্মশালায় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা, মনোনয়ন প্রক্রিয়া এবং দলীয় ঐক্যের ওপর জোর দেন।
তারেক রহমানের মূল বক্তব্য
১. যোগ্যতার ভিত্তিতে মনোনয়ন:
তারেক রহমান দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র যোগ্য ও মেধাবীরা দলের মনোনয়ন পাবেন। নিজের দক্ষতা এবং জনগণের সাথে সংযোগ স্থাপন করার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির নেতৃত্ব এমন ব্যক্তিদের হাতে থাকবে যারা সত্যিকার অর্থে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চান।
২. ৩১ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়ন:
তারেক রহমান দলের ৩১ দফা কর্মসূচিকে বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই কর্মসূচি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করবে। নেতাকর্মীদের এই কর্মসূচি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান।
৩. স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায়:
বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচারী উল্লেখ করে তারেক রহমান অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে জনগণের অর্থ লুটপাট হয়েছে। তিনি বলেন, জনগণ তাদের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় করেছে এবং বিএনপি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
৪. নির্যাতিত নেতাকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা:
গুম, খুন এবং হত্যার শিকার নেতাকর্মীদের স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, তাদের আত্মত্যাগের প্রতি দল অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশেষ করে জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
৫. দলীয় ঐক্যের বার্তা:
তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "বিএনপির সফলতা নিশ্চিত করতে ঐক্যের বিকল্প নেই।"
বিশেষ অতিথি হিসেবে কর্মশালায় বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্য হলো মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি দলের আদর্শ জনগণের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। প্রধান প্রশিক্ষক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল তার বক্তব্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় সরকারই পারে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে।
এই কর্মশালা বিএনপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলীয় ঐক্য এবং ৩১ দফা কর্মসূচির কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিএনপি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চায়। দলের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচি নিয়ে জনগণের মাঝে আরও সক্রিয় হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশে১৮, ২১ ও২২ ক্যারেট সোনার আজকের বাজার মূল্য
- আজ বাংলাদেশের বাজারে ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য তালিকা
- জ্বালানি তেলে সুখবর: মে মাসে কমলো ডিজেল ও পেট্রোলের দাম
- ৬৯০ টাকায় সাড়ে ১২ কেজির এলপি গ্যাস, কেন পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ?
- ৯ দিনে সোনার দাম কমলো ২৯০ ডলার
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- স্বর্ণের দাম বাড়বে নাকি কমবে? বিশ্ববাজারের পরবর্তী পদক্ষেপ
- বাংলাদেশে আজকের সোনার দাম ও রুপার বাজার মূল্য
- ২ ধরনের শরিক নিলে কোরবানি কবুল হবে না!
- আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপা
- ৪১ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: লাভবান ও ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানির তালিকা
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- ১৬ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ: কার আয় বাড়ল, কে পড়ল লোকসানে
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- গুজবের ফাঁদে শেয়ারবাজার: জুয়াড়ি চক্রের নতুন কৌশল