ঢাকা, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১

শামীম ওসমান ও নানকের সীমাহীন দু র্নী তি

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ জানুয়ারি ১৫ ১৫:৫৫:২৮
শামীম ওসমান ও নানকের সীমাহীন দু র্নী তি

সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার স্ত্রী ও ছেলে এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী ও কন্যার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, শামীম ওসমান এবং তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। অন্যদিকে, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, তারা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

দুদকের বিশেষ তদন্ত দলের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়ার পর মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে এসব অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

শামীম ওসমান ও তার পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে, যার সঠিক উৎস সম্পর্কে তারা কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। একইভাবে, নানক পরিবারের বিপুল সম্পত্তির হিসাবেও বড় ধরনের অসংগতি পাওয়া গেছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, "আমরা সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা দুটি দায়ের করেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর তদন্ত চালানো হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

দুদক জানিয়েছে, অভিযুক্তদের সম্পত্তি জব্দ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হতে পারে। একই সঙ্গে, তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

শামীম ওসমান এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক উভয়ই আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতা। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাগুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ ধরনের মামলা আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও এটি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হলে এটি দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে