ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬ মাসের জেল

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ০৩ ১২:৫১:১৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬ মাসের জেল

আদালত অবমাননার মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশত্যাগের এক বছর পর প্রথমবারের মতো সাজা পেলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আদালত অবমাননার মামলায় তাঁকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT)। একই মামলায় আওয়ামী লীগের আরেক নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকেও দুই মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করে। বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মোর্তাজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই ঐতিহাসিক রায় দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম এবং বিচারপতি মো. সাইফুল ইসলাম।

কী কারণে এই সাজা?

২০২৪ সালের জুলাইয়ে দেশব্যাপী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় একটি সংবাদ সম্মেলনে আদালতের বিরুদ্ধে ‘অবমাননাকর ও অসম্মানজনক’ বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা এবং শাকিল বুলবুল। তাদের বক্তব্যে বিচার বিভাগ অবমানিত হয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা হয়। প্রায় এক বছর ধরে চলা শুনানি শেষে আদালত দুইজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে।

রায়ে বলা হয়েছে, “বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষায় অভিযুক্তদের বক্তব্য ক্ষমার অযোগ্য এবং আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”

দেশ ছাড়ার পর প্রথম সাজা

২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। তখন থেকেই তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তাঁর অনুপস্থিতিতেই এই মামলায় রায় ঘোষণা হলো। এটিই তাঁর বিরুদ্ধে ঘোষিত প্রথম সাজা, যা রাজনৈতিক ও আইনি অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

শিগগিরই আপিল করবে আওয়ামী লীগপন্থীরা

এই রায়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো আসেনি। তবে দলীয় আইনজীবীদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। পাশাপাশি দলের একাধিক নেতা রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি করেছেন।

রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ

বিশ্লেষকদের মতে, এই রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন উত্তেজনার সূচনা করল। একদিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার বার্তা, অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার প্রশ্ন—দুটিই সামনে এসেছে এই ঘটনায়।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ