মহানবী (সা.)-এর অভিভাবকদের প্রতি সতর্কবার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রত্যেক বাবা-মা তাদের পরিবার ও প্রিয়জনদের সুখী এবং নিরাপদ জীবন উপহার দেওয়ার জন্য সারাটা জীবন চেষ্টা করে থাকেন। তারা তাদের জীবনযাপন, সময়, ও সম্পদ ব্যয় করে পরিবারের সুখের জন্য। তবে, ইসলামী শিক্ষায় বলা হয়েছে যে, এই দুনিয়াবি সুখের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের আখিরাতের নিরাপত্তা।
বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষার আলোকে আমাদের জানাতে চাওয়া হয়েছে যে, একজন অভিভাবকের প্রধান দায়িত্ব হল নিজের এবং পরিবারের আখিরাতের জীবন সুরক্ষিত রাখা। পবিত্র কোরআনে সুরা তাহরিমের ৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, "হে মুমিনরা! তোমরা তোমাদের নিজেদের আর তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে মোতায়েন আছে পাষাণ হৃদয় কঠোর স্বভাবের ফেরেশতা। আল্লাহ যা আদেশ করেন, তা তারা অমান্য করে না, আর তারা তাই করে, যা তাদের আদেশ করা হয়।" (সুরা তাহরিম, আয়াত: ৬)
এ আয়াতে আল্লাহ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, আমাদের দায়িত্ব শুধু দুনিয়ার জন্য নয়, আখিরাতের জন্যও আমাদের পরিবারকে সঠিক পথ দেখানো। যদি আমরা তাদের আল্লাহর নাফরমানি থেকে বিরত রাখতে না পারি, তবে তাদের ক্ষতি হতে পারে।
আল্লাহ বলেন, "নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, অচিরেই আমি তাদের প্রবেশ করাব আগুনে। যখনই তাদের চামড়াগুলো পুড়ে যাবে, তখনই আমি তাদের পাল্টে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আস্বাদন করে আজাব।" (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৬)
এই আয়াতে আল্লাহ আমাদের সতর্ক করছেন যে, জাহান্নামের শাস্তি ভয়াবহ এবং চিরস্থায়ী। তাদের চামড়ার পুড়ে যাওয়া, প্রতিস্থাপন করা এবং পুনরায় পুড়ে যাওয়ার মতো শাস্তি, যা এক মুহূর্তে একাধিকবার হতে পারে।
এছাড়াও, একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তিকে জাহান্নামের মধ্যে সবচেয়ে কম শাস্তি দেওয়া হবে, তার পায়ের তলায় দুটি জ্বলন্ত অঙ্গার রাখা হবে, যার ফলে তার মগজ ফুটে উঠবে।" (তিরমিজি, হাদিস: ২৬০৪)
এইসব শাস্তির ভয়াবহতা দেখে, আমাদের উচিত যতটা সম্ভব আমাদের পরিবারকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখা এবং তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করা। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল, নিজেদের শুদ্ধ রাখা এবং পরিবারকে শুদ্ধ পথের দিকে পরিচালিত করা।
রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, "তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল; আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।" (বুখারি, হাদিস: ৭১৩৮)
এখানে রাসুল (সা.) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, প্রত্যেক অভিভাবক তার পরিবার এবং অধীনস্থদের দায়িত্বশীল। গৃহকর্তার কর্তব্য শুধু তার পরিবারের ভরণপোষণ করা নয়, বরং তাদের আখিরাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে আখিরাতের জন্য সচেতন হতে, নিজের এবং পরিবারের দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করুন। আমরা যদি সত্যিই আমাদের প্রিয়জনদের ভালোবাসি, তবে আমাদের উচিত তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করা, গুনাহ ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখা, এবং নিজেদেরও সঠিক পথ অনুসরণ করা।
এম রাজিব/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম নেপালের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম পার্থ স্কর্চার্সের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- জামায়াত, বিএনপি, এনসিপি অনড়, সত্যি হতে চলেছে সেনা প্রধানের ভবিষ্যদ্বাণী
- প্রকৌশল খাতের ৫ কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে চার কোম্পানির শেয়ার
- চমক দেখালো ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?
- বিক্রেতা সংকট: সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পেয়ে হল্টেড ৮ কোম্পানি
- বিক্রেতা সংকটে হল্ডেট ৩ কোম্পানি
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(১৮ আগস্ট ২০২৫)
- ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারে চমক
- চলতি সপ্তাহে ৭ কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে
- সাত কোম্পানির শেয়ার বছরের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন
- বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৮ কোম্পানির শেয়ার