রিফাইন আওয়ামী লীগ নিয়ে মুখ খুললেন মুগ্ধ’র ভাই স্নিগ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে ২০২০ সালের গণহত্যার বিচার দাবিতে মাঠে নেমেছেন মুগ্ধ’র ভাই স্নিগ্ধ। তিনি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। স্নিগ্ধ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “যারা রিফাইন আওয়ামী লীগ নামের থিওরি আমাদের সামনে উপস্থিত করেছেন তাদেরকে এক হুশিয়ারি দিতে যাচ্ছি, যে বাংলাদেশের ছাত্র জনতা এটা মেনে নিবে না কখনোই। ঠিক আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, অন্তত যতক্ষণ পর্যন্ত এই গণহত্যার বিচার সুস্থভাবে সম্পন্ন না হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “এখনো ফেসবুক বা বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব প্রচার করে যাচ্ছে এবং তাদের ভিতরে কোনো রকম অনুশোচনাও নেই। সেই কারণেই আজকে এই ছাত্র জনতা আবার রাস্তায় নেমেছে। এই কারণটা হলো রিফাইন আওয়ামী লীগের যে থিওরিটা আমরা পেয়েছি, সেটার জন্য। যদি এই থিওরিটা বাস্তবায়ন করতে হয়, শুধুমাত্র একলা সার্জিস অথবা হাসনা বা নাহিদ ভাই এদের সাথে বসে এই সমস্যা সমাধান করা যাবে না। আপনারা যদি রিফাইন আওয়ামী লীগকে চান, আগে এই ২০০০ শহীদ পরিবারকে, ২০,০০০ আহত পরিবারকে তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে আসেন, তারপরই চিন্তা ভাবনা করা যাবে।”

স্নিগ্ধ তার বক্তব্যে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “এত এত মানুষ, এতগুলো জীবন তারা দিয়েছে। ১৫০০ এর উপরে শহীদ, শহীদরা তাদের জীবন দিয়েছে, ২০২০ এর উপরে আহতরা তাদের ত্যাগ স্বীকার করেছে। এই প্রশ্নে কোনো আপোষ হবে না। যারা রিফাইন আওয়ামী লীগ নামের থিওরি আমাদের সামনে উপস্থিত করেছেন তাদেরকে করেছিলাম একটি হুশিয়ারি।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশে এর নতুনভাবে বাংলাদেশ করার একটি সুযোগ এসেছে এই জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের কারণে। এই গণঅভ্যুত্থানে ১৫০০ এর উপরে মানুষ তাদের জীবন দিয়েছে, ২০,০০০ এর উপরে মানুষ তাদের ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং এই নিঃশংসতা গঠন হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের দ্বারা। যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের এই পুরো আওয়ামী লীগের যারা আছে, তাদের সম্পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হচ্ছে, এই গণহত্যার সাথে আওয়ামী লীগের একদম টপ পর্যায়ের লিডার থেকে একদম মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যারা আছেন, তাদের সবাই জড়িত ছিল।”

তিনি অব্যাহতভাবে বলেন, “আমরা এখনো দেখছি কিভাবে তারা এখনো ফেসবুক বা বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব প্রচার করে যাচ্ছে এবং তাদের ভিতরে কোনো রকম অনুশোচনাও নেই। সেই ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো রকম আপোষ করা হবে না। আর যেই গোষ্ঠী হোক, যেই রাজনৈতিক দলেই হোক, যদি এ ব্যাপারে কোনো রকম আপোষ করার বিন্দুমত চেষ্টা করে, ছাত্র জনতা তার প্রতিহত করবে।”

এতে স্পষ্ট যে, স্নিগ্ধ এবং ছাত্র জনতা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের আপোষ বা সমঝোতা মানবে না। তাদের দাবি, গণহত্যার বিচার কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হবে এবং এ বিষয়ে ছাত্র জনতা সবসময় প্রতিবাদে সোচ্চার থাকবে।

মো: রাজিব আলী/