রাসুল (সা.)-এর আনুগত্যে বহুগুণ পুরস্কার: এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুরা আহজাবের নির্দেশনা:
ইসলামী জীবনে আদর্শের অনুসরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি কেবল একক ব্যক্তির জন্য নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরে আল্লাহর নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি। সুরা আহজাব এর আয়াতগুলো আমাদের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করে। এর মধ্যে রয়েছে নবী (সা.) ও তাঁর পরিবারকে সম্মান জানানো, পর্দার বিধান অনুসরণ করা এবং সমাজে শিষ্টাচার বজায় রাখা।
এই সুরায় আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত নির্দেশনা অনুসারে, নবী (সা.)-এর আনুগত্যে দ্বিগুণ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর জীবনে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ (আয়াত ২১), যা প্রতিটি মুসলমানের জন্য অনুসরণীয়। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, নবীর (সা.) জীবন ও আদর্শে মুমিনদের জন্য শাসন-পরিচালনায় দৃষ্টান্ত রয়েছে, যা জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটি দিককে সুশৃঙ্খল ও সঠিকভাবে পরিচালিত করে।
আরও এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শালীনতা। পরপুরুষের সাথে কোমল ভাষায় কথা না বলা এবং ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (আয়াত ৩২, ৩৩)। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষের পারস্পরিক সম্পর্কের শালীনতা রক্ষা করা এবং সামাজিক অবক্ষয় রোধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সুরা সাবা:
সুরা সাবা একদিকে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব এবং অপরদিকে মানবতার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এই সুরার মাধ্যমে আল্লাহকে সর্বোচ্চ প্রশংসা করতে বলা হয়েছে (আয়াত ৫)। এর পাশাপাশি কিয়ামতের অমোঘ বাস্তবতার ঘোষণা এবং দাউদ (আ.) ও সুলায়মান (আ.)-এর স্মরণীয় কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, সাবা নগরীর অধিবাসীদের দুনিয়ার প্রতি অমনোযোগিতা ও কুফরির শাস্তির ফলাফল বর্ণনা করে, সুরা সাবা মুশরিকদের ঈমানের দিকে ফিরে আসার আহ্বান জানায়। আল্লাহর আযাব এবং তাঁর সৎ পথে চলার উপকারিতা নিয়ে গভীর চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে (আয়াত ৪৮)। সুরা সাবা’র মূল বক্তব্য হলো সত্যের অনুসরণ এবং আল্লাহর নির্দেশে অবিচল থাকা।
সুরা ফাতির:
সুরা ফাতিরে আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে, যা সৃষ্টির বিভিন্ন চিহ্নের মাধ্যমে উদ্ভাসিত হয়। এখানে আল্লাহর অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এবং এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে পৃথিবী এবং আকাশের যে নিদর্শনগুলো আমাদের চারপাশে দেখা যায়, তা সবই আল্লাহর নিখুঁত পরিকল্পনার অংশ (আয়াত ১২)।
এ সুরায় আল্লাহর অনুগ্রহ ও দান সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি কুফরি ও অবিশ্বাসের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। এ কথা স্পষ্ট করা হয়েছে যে, যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হবে, তারা অবশেষে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে (আয়াত ৪৫)। তবে, যারা আল্লাহর পথে চলবে এবং সত্যকে মেনে চলবে, তাদের জন্য থাকবে দুনিয়া ও আখিরাতে পুরস্কার।
ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিধান ও আদর্শ মানব জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। রাসুল (সা.)-এর আনুগত্যে বহুগুণ পুরস্কারের কথা এই সুরাগুলোতে বর্ণিত হয়েছে। যে কোনো মুসলমানের উচিত এসব নির্দেশনা অনুসরণ করে নিজ জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালিত করা। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, সত্যের পথে চলা এবং তাঁর নির্দেশনা মেনে সমাজে শান্তি ও শালীনতা বজায় রাখা, এসবই আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
ইবনে বিনতে সাবা/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- অভিনেতা সিদ্দিককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল কর্মীরা
- সিলেটে ক্রিকেট মাঠে শোকের ছায়া: বিসিবি কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু
- আজ বাংলাদেশের বাজারে১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ৬ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা, কারা কত শতাংশ দিচ্ছে
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন হাসানত আব্দুল্লাহ
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- ১১ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৮ এপ্রিল ২০২৫)