শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে দুদকের কৌশলী পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র ও জনতার টানা আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ভাগ্নি, যুক্তরাজ্যের সাবেক শিশু বিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে একটি বহুমুখী কৌশল হাতে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি এখন আর কেবল প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ নেই—আন্তর্জাতিক পর্যায়েও শুরু হয়েছে আইনগত ও কূটনৈতিক তৎপরতা।
দুদকের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ মঙ্গলবার জানান, দুই সাবেক প্রভাবশালী রাজনীতিককে দেশে ফেরানোর জন্য ‘মাল্টি-লেভেল কনসালটেশন প্ল্যান’ তৈরি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী নেটওয়ার্কের সঙ্গে একাধিক পরামর্শ সভা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্বের ১২টি দেশে এখন দুদকের বিশেষ প্রতিনিধি কাজ করছে যাদের দায়িত্ব—প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও প্রমাণাদি প্রস্তুত করে বিদেশি কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা। কমিশনার বলেন, “আমরা শুধু আইন নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও জনমতকেও কাজে লাগাচ্ছি। বিশ্বের অনেক দেশ এখন দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে একমত, সেটিই আমাদের বড় শক্তি।”
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ, গোপন ব্যয় ও অবৈধ বিদেশযাত্রার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুদক সূত্র। একটি মামলায় অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় জমিতে তাঁর আত্মীয়দের জন্য ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দ নিয়েছেন। এই ঘটনায় নথিপত্র, ভূমি অফিসের রেকর্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার ও বৈদেশিক লেনদেন যাচাই চলছে।
অন্যদিকে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার কূটনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ব্রিটিশ ব্যাংকে অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করেছেন। এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল মনিটরিং নেটওয়ার্ক’ (IFMN)-এর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
দুদক কমিশনার জানান, এই দুজনকে দেশে ফিরিয়ে আনার কাজটি শুধু একটি মামলা বা আইনি অনুরোধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটি হচ্ছে ‘ন্যাশনাল রেপুটেশন রিস্টোরেশন প্রজেক্ট’-এর অংশ। তিনি বলেন, “আমরা চাচ্ছি, বিশ্ববাসী জানুক—বাংলাদেশ এখন আর দুর্নীতিবাজদের নিরাপদ আশ্রয় নয়। কোনো অপরাধীর স্থান দেশ বা দেশের বাইরে কোথাও হবে না।”
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশনার বলেন, বিষয়টি পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে এবং পরবর্তী কমিশন সভায় তা চূড়ান্ত হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রক্রিয়াটি শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইনের ইতিহাসেও নজির সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, এত উচ্চপর্যায়ের দুই রাজনীতিককে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক কৌশল প্রয়োগ করছে।
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা—এই পরিকল্পনা কতটা কার্যকর হয় এবং জাতি কীভাবে ন্যায়ের বিজয় প্রত্যক্ষ করে।
গোলাম রাব্বানী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চলছে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- এইমাত্র শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচ দেখুন স্কোর
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায়
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: জানুন হেড টু হেড পরিসংখ্যান
- চলছে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট, লাইভ দেখুন এখানে
- শিক্ষকদের জন্য সুখবর: বাড়ল বাড়ি ভাড়া
- শেয়ারবাজারে চমক: ২৫ প্রকৌশল কোম্পানিতে বাড়ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ!
- দুই কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা আসছে ডিভিডেন্ড
- নতুন পে স্কেল: সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন হিসাব হবে যে নিয়মে
- মশিউর সিকিউরিটিজের লেনদেন স্থগিত, বিনিয়োগকারীদের শেয়ার স্থানান্তরের নির্দেশ ডিএসইর
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ৩য় টি-২০ ম্যাচ: লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- আজকের খেলার সময়সূচি: বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, সেভিয়া বনাম বার্সেলোনা
- একমি পেস্টিসাইড শেয়ার কেলেঙ্কারি: তদন্তে নতুন মোড়, কঠিন সিদ্ধন্ত বিএসইসির
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা