বিএসইসিতে শেয়ারবাজার নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান শেয়ারবাজার সংকট নিরসনে এক টেবিলে বসলো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুই প্রতিনিধি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এক জরুরি বৈঠক, যেখানে দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে গভীর আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) সচিব নাজমা মোবারেক। তাঁদের সঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বাজারে আস্থাহীনতা: আলোচনার মূল বিষয়
বৈঠকে শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা, কোম্পানির স্বচ্ছতা ঘাটতি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমে যাওয়া—এই সবগুলো বিষয় গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন,
“শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়নে শুধু নিয়ন্ত্রকের চেষ্টা যথেষ্ট নয়, বরং নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে সব স্টেকহোল্ডারের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন:বিনিয়োগকারীদের টাকায় ‘হস্তক্ষেপ’ ডিবিএর আইনি হুঁশিয়ারি
তিনি জানান, বিএসইসি প্রযুক্তি উন্নয়ন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির তথ্য স্বচ্ছতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি: শেয়ারবাজার হবে অর্থনীতির চালিকাশক্তি
এফআইডি সচিব নাজমা মোবারেক বলেন,
“সরকার শেয়ারবাজারকে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে দেখছে। সে লক্ষ্যে নীতিমালা সংস্কার, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সক্রিয়তা বাড়ানো এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরকারিভাবে সহযোগিতার আশ্বাসও দেন।
প্রস্তাবিত উদ্যোগ: ভবিষ্যতের জন্য আশার বার্তা
বৈঠকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপিত হয়, যার মধ্যে ছিল—
তালিকাভুক্ত কোম্পানির তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা
প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি বাড়ানো
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য কর সুবিধা বিবেচনা
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই ধরনের উচ্চপর্যায়ের আলোচনার মাধ্যমে বাজারে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছাবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সহায়ক হবে।
বিশ্লেষণ: এখন দরকার বাস্তব পদক্ষেপ
শুধু আলোচনা নয়, বাস্তবায়নই হবে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর মূল চাবিকাঠি। নীতিনির্ধারক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করলে পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা সম্ভব।
রাজিব/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি