ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

ফার্মা-রসায়ন খাতে মুনাফা বেড়েছে ১১ কোম্পানির

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মে ০১ ২২:৫৯:১০
ফার্মা-রসায়ন খাতে মুনাফা বেড়েছে ১১ কোম্পানির

নিজস্ব প্রতিবেদক: ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিকের আয় প্রকাশে শেয়ারবাজারে ফিরেছে মুনাফার বার্তা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে ২৬টি ইতোমধ্যে জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫ মেয়াদের আয় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১১টি কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে আগের বছরের তুলনায়।

এই বৃদ্ধিকে বিশ্লেষকেরা খাতটির পুনরুদ্ধার এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক—যেসব কোম্পানি তুলনামূলক ভালো করেছে তাদের পারফরম্যান্স।

একমি ল্যাবরেটরিজ

চলতি প্রান্তিকে একমি ল্যাবরেটরিজের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৮১ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৭৫ পয়সা। তবে ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ২৮ পয়সায়, আগের বছর যা ছিল ৮ টাকা ৫৩ পয়সা।

এম্বি ফার্মা

ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ৮০ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৭ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ

তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৫৯ পয়সা। যদিও ৯ মাসে ইপিএস কমে হয়েছে ১ টাকা ৭১ পয়সা, আগের বছর ছিল ২ টাকা ২৬ পয়সা।

বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস

এক বছরের ব্যবধানে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে বিকনের। আগের বছর একই প্রান্তিকে যেখানে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৯৫ পয়সা, এবার সেখানে মুনাফা হয়েছে ২৮ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা।

গ্লোবাল হেভী কেমিক্যালস

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি লোকসান কাটিয়ে ৭ পয়সা মুনাফায় ফিরেছে। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১৮ পয়সা। যদিও ৯ মাসের হিসাবে কোম্পানিটি এখনো লোকসানে আছে, তবে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪ পয়সায়, আগের বছর ছিল ৪ টাকা ১৭ পয়সা।

ফার কেমিক্যাল

প্রান্তিক হিসেবে এবার ইপিএস ৮ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৬ পয়সা লোকসান। ৯ মাসের হিসাবে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪০ পয়সা, আগের বছর ছিল ২৬ পয়সা।

ইবনে সিনা

শক্তিশালী পারফরম্যান্স ধরে রেখেছে ইবনে সিনা। প্রান্তিক ইপিএস ৫ টাকা ৫৫ পয়সা, আগের বছর ছিল ৪ টাকা ৩১ পয়সা। তবে ৯ মাসে ইপিএস কিছুটা কমে হয়েছে ১৫ টাকা ২ পয়সা, আগের বছর ছিল ১৬ টাকা ৩২ পয়সা।

কোহিনূর কেমিক্যাল

তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ৪ টাকা ৫৫ পয়সা, আগের বছর ছিল ৩ টাকা ৩৯ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৪৩ পয়সায়, যা আগের বছর ছিল ৮ টাকা ৯০ পয়সা।

নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস

প্রান্তিক ইপিএস ১ টাকা ১ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ১ টাকা। ৯ মাসে বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ৪৯ পয়সা, আগের বছর ছিল ৩ টাকা ৯ পয়সা।

লিবরা ফার্মা

প্রান্তিক ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ৫ টাকা ৬৯ পয়সা লোকসান। ৯ মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা, আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৬ টাকা ৪৪ পয়সা।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস

খাতটির শীর্ষস্থানীয় এই কোম্পানিটি আগের বছরের তুলনায় বড় অগ্রগতি দেখিয়েছে। চলতি প্রান্তিকে সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৮৩ পয়সা, আগের বছর ছিল ৫ টাকা ৫৫ পয়সা। ৯ মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ১৫ পয়সা, আগের বছর ছিল ১৮ টাকা ২৪ পয়সা।

বাজার বিশ্লেষণ

বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিছু কোম্পানির বার্ষিক ইপিএস কমে গেলেও প্রান্তিক প্রবৃদ্ধি ভবিষ্যতের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, কয়েকটি কোম্পানির লোকসান কাটিয়ে মুনাফায় ফেরা খাতটির স্থিতিশীলতা ও পুনরুদ্ধারের বার্তা দেয়। বিনিয়োগকারীদের জন্য এসব তথ্য ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে।

জাকারিয়া ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ