ঢাকা, শনিবার, ৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

ডিভিডেন্ড কমালো ৪ ব্যাংক, বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্ক সংকেত

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ মে ০৩ ১২:৩১:৩৬
ডিভিডেন্ড কমালো ৪ ব্যাংক, বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্ক সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য এখন পর্যন্ত ১৬টি ব্যাংক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। তবে এর মধ্যে চারটি ব্যাংক আগের বছরের তুলনায় ডিভিডেন্ড কমিয়ে দিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।

ডিভিডেন্ড কমিয়ে দেওয়া ব্যাংকগুলো হলো—ডাচ-বাংলা ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংক। বিশ্লেষকদের মতে, আয় কমে যাওয়া, ব্যয় বৃদ্ধি অথবা খেলাপি ঋণের চাপের কারণেই ব্যাংকগুলো রিটার্নে কাটছাঁট করতে বাধ্য হয়েছে।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক: সবচেয়ে বড় ধাক্কা

ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবার ১০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, যা মোট ২০ শতাংশ। অথচ আগের বছর ব্যাংকটি দিয়েছিল ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস মিলিয়ে মোট ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ এবারে ডিভিডেন্ড কমেছে ১৫ শতাংশ পয়েন্ট, যা ব্যাংক খাতের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আরও পড়ুন:তিন ব্যাংকের ডিভিডেন্ড অপরিবর্তিত, বিনিয়োগকারীদের জন্য স্থিতিশীলতা

যমুনা ব্যাংক: সামান্য হলেও পিছিয়েছে

২০২৪ সালের জন্য যমুনা ব্যাংক ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস মিলিয়ে মোট ২৪ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ব্যাংকটি দিয়েছিল মোট ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ কমেছে ২ শতাংশ পয়েন্ট।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক: শুধু নগদ, তাও কম

ব্যাংকটি এবার ১০ শতাংশ নগদ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, যেখানে আগের বছর ছিল ১৪ শতাংশ। ডিভিডেন্ড হ্রাস পেয়েছে ৪ শতাংশ পয়েন্ট।

ট্রাস্ট ব্যাংক: আস্থার জায়গায় চাপ

ট্রাস্ট ব্যাংক এবারে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাসসহ মোট ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ব্যাংকটি দিয়েছিল ১২ শতাংশ ক্যাশ এবং ৮ শতাংশ বোনাসসহ মোট ২০ শতাংশ। ফলে ডিভিডেন্ড কমেছে ৫ শতাংশ পয়েন্ট।

বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়া ও বাজার বিশ্লেষণ

ব্যাংকগুলোর ডিভিডেন্ড কমে যাওয়ার এই প্রবণতা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হতে পারে। কেউ কেউ এটিকে সাময়িক আর্থিক মন্দার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে মনে করছেন ব্যাংকগুলো ভবিষ্যতের জন্য সংবেদনশীল নীতি গ্রহণ করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিভিডেন্ড কমলেও ব্যাংকের সামগ্রিক আর্থিক স্থিতি, প্রবৃদ্ধি এবং মূলধন সংরক্ষণ প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ