ঢাকা, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

শাহবাগে ছাত্রদের প্রতিবাদ: ছাত্রদল ও বাম সংগঠন নেই

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ মে ১০ ০০:৩৮:৩০
শাহবাগে ছাত্রদের প্রতিবাদ: ছাত্রদল ও বাম সংগঠন নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: শাহবাগের রাজপথে যখন ছাত্রদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর একে একে জোরালো হয়ে উঠছে, তখন এক ধরনের অদ্ভুত শূন্যতা দেখা যাচ্ছে—অবস্থান নেই দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বিএনপির ছাত্র শাখা ছাত্রদলের এবং বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর। এই প্রেক্ষাপটে, গত ৯ মে শাহবাগ মোড়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রদের চলমান আন্দোলন এক নতুন মোড় নিয়েছে।

শুক্রবার বিকেল বেলা যখন আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে এসে একত্রিত হতে শুরু করেন, তখন একে একে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, সদ্য গঠিত প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশসহ ৩৫টি রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের প্রতিবাদে যোগ দেয়। তাদের দাবি ছিল স্পষ্ট: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, আর তার জন্য জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

মিছিলের মাঝেই উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যেসব ব্যক্তি এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে শ্রমিক, বিভিন্ন পেশার মানুষ, এমনকি বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। তবে এখানেই একটি চমকপ্রদ পরিস্থিতি তৈরি হয়—দেশের অন্যতম বড় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং বাম সংগঠনগুলোর কোনো উপস্থিতি ছিল না।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী (মার্ক্সবাদী) ঢাকা পোস্টকে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছি। তবে সরকার এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় হাসিনা সরকারের শীর্ষ নেতারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশের গণতান্ত্রিক শক্তি একত্রিত হয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।”

এদিকে, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ফোনে পাওয়া যায়নি, যার ফলে তাদের অবস্থান জানা সম্ভব হয়নি। তবে আন্দোলনকারীরা দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের আন্দোলন চলবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা আসে।

এমন পরিস্থিতিতে, শাহবাগের এই আন্দোলন এক নতুন অর্থ ধারণ করছে। আন্দোলনের স্পষ্ট দাবি, আর তাদের প্রেরণা—দেশে গণতান্ত্রিক শক্তির পুনর্গঠন এবং দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ