অবশেষে অবৈধ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তির খবর দিল মালয়েশিয়া
‘প্রত্যাবাসন কর্মসূচি ২.০’-তে জরিমানা দিয়ে ঘরে ফেরার সুযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ অনিশ্চয়তা, আতঙ্ক আর আইন লঙ্ঘনের চাপ—অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা হাজারো প্রবাসীর জীবনে যেন নেমে এসেছিল এক দীর্ঘশ্বাসের সময়কাল। অবশেষে সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির দরজা খুলেছে। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ ঘোষণা দিয়েছে, ‘অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি ২.০’ নামে একটি নতুন উদ্যোগ, যার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীরা জরিমানা দিয়ে, কোনো আইনি জটিলতা ছাড়াই নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
ইমিগ্রেশন বিভাগের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য মানবিকতা, শৃঙ্খলা এবং আইনের আলোকে অভিবাসন ব্যবস্থাপনা আরও সুশৃঙ্খল করা। পাশাপাশি দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাও এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
প্রথম দিনেই প্রবাসীদের ভিড়, স্বস্তি মুখে মুখে
কর্মসূচি শুরুর প্রথম দিনেই মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু অভিবাসী নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে হাজির হন। সেখানে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল, যাচাই, নিবন্ধনসহ ফেরার প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেন্টারগুলোতে কাজ চলছে দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে, যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হন।
একজন বাংলাদেশি প্রবাসী বলেন,
“অনেকদিন পর মনে হলো কেউ আমাদের কথা ভাবছে। ভয় ছাড়াই এখানে এসে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছি।”
ভবিষ্যতে আরও প্রযুক্তিনির্ভর হবে প্রক্রিয়া
ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই কর্মসূচিকে আরও আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করার পরিকল্পনা রয়েছে। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে যাঁরা নিজ উদ্যোগে কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, তাঁদের জন্য থাকবে পূর্ণ নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা। তবে সময় পেরিয়ে গেলে বাধ্যতামূলক ধরপাকড় ও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
সময়ের আগে ফিরে যাওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ
মালয়েশিয়ায় থাকা অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে,
“এটি আপনার ঘরে ফেরার একটি সুবর্ণ সুযোগ। সময় শেষ হওয়ার আগে ফিরে যান সম্মানের সঙ্গে।”
এই উদ্যোগ শুধু দেশে ফেরারই সুযোগ নয়, বরং একটি নতুন জীবন শুরু করার সুযোগও বটে—ভয় নয়, এবার ফিরুন মর্যাদা নিয়ে।
FAQ (প্রশ্ন ও উত্তর):
প্রশ্ন ১: মালয়েশিয়ার 'প্রত্যাবাসন কর্মসূচি ২.০' কী?
উত্তর: এটি একটি সরকারিভাবে চালু হওয়া কর্মসূচি, যার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীরা জরিমানা দিয়ে কোনো আইনি জটিলতা ছাড়াই নিজ দেশে ফিরতে পারবেন।
প্রশ্ন ২: এই কর্মসূচিতে কীভাবে অংশ নেওয়া যায়?
উত্তর: নির্ধারিত ইমিগ্রেশন সেন্টারে গিয়ে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর নির্ধারিত জরিমানা পরিশোধ করে প্রস্থান করা যাবে।
প্রশ্ন ৩: যারা অংশ নেবে না, তাদের জন্য কী শাস্তি আছে?
উত্তর: সময়সীমা পেরিয়ে গেলে ওইসব প্রবাসীর বিরুদ্ধে কঠোর ধরপাকড়, জরিমানা ও ডিপোর্টেশন কার্যক্রম চালানো হবে।
প্রশ্ন ৪: এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশিরা অংশ নিতে পারবে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে।
আল-আমিন ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: জয় ও সাদমানের ফিফটি, দেখনু সরাসরি (Live)
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: লিড নিল বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
- বিএনপির ২৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন! আসছে নতুন ১১ প্রার্থী
- মেট্রো স্পিনিংয়ের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে বড় খবর: বিএসইসি’র ‘মার্জিন বিধিমালা ২০২৫’ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড প্রথম টেস্ট: প্রথম দিনের খেলা শেষ, জেনে নিন সংক্ষিপ্ত স্কোর
- ২৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন! ১১ আসনে নতুন প্রার্থীবিএনপির
- ওরিয়ন ফার্মার ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: অল-আউটের পথে আয়ারল্যান্ড, দেখে নিন সর্বশেষ স্কোর
- আজ নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি কত
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় দিন শেষ: জয়ের ১৬৯, সাদমান ও মুমিনুলের ফিফটি
- বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড: মিরাজের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে অল-আউট আয়ারল্যান্ড
- শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত ২৪ কোম্পানির ইপিএস প্রকাশ, জানুন এক নজরে
- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনেরনগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- সী পার্ল বিচের প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ