পশুর যে ৬ ধরনের ত্রুটি থাকলে কোরবানি শুদ্ধ হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানি শুধু একটি রীতি নয়, এটি মুসলিম সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ঈদুল আজহায় আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু জবাই করার মাধ্যমে মুসলমানরা তাকওয়া ও আনুগত্য প্রকাশ করে। কোরআনে আল্লাহ তাআলা কোরবানির গুরুত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন—“তোমার রবের উদ্দেশে নামাজ আদায় করো এবং কোরবানি করো।” (সুরা কাওসার: ২)
এছাড়াও, কোরআনের হজ সূরায় বলা হয়েছে—“তোমাদের কোরবানির পশুর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না; বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া।” (সুরা হজ: ৩৭)
এই তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ হয় ইবাদতের শুদ্ধতার মাধ্যমে। তাই কোরবানির পশু নির্বাচনের সময় কিছু শর্ত অবশ্যই মানা জরুরি। শরিয়তের দৃষ্টিতে এমন কিছু ত্রুটি রয়েছে, যেগুলো কোনো পশুর মধ্যে থাকলে তা দিয়ে কোরবানি গ্রহণযোগ্য হয় না। নিচে এমন কয়েকটি প্রধান ত্রুটি তুলে ধরা হলো—
১. সম্পূর্ণ অন্ধ পশু
যে পশু একেবারেই দেখতে পায় না, তার কোরবানি বৈধ নয়। কারণ চোখে না দেখার কারণে এমন পশু চলাফেরায় অসুবিধায় পড়ে এবং শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। যদিও এক চোখে অন্ধ পশুর কোরবানি কিছু আলেম বৈধ বলেছেন, তবে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে নিখুঁত দৃষ্টিসম্পন্ন পশু বেছে নেওয়া।
২. পঙ্গুত্ব বা হাঁটার অক্ষমতা
যদি কোনো পশু এক বা একাধিক পা ব্যবহার করতে না পারে এবং স্বাভাবিকভাবে হেঁটে জবাইস্থলে যেতে অক্ষম হয়, তাহলে তার কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে না। হাদিসে এমন পশুকে “যে স্পষ্ট পঙ্গু”—এইভাবে বর্ণনা করে তার কোরবানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৩. মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত বা অঙ্গভঙ্গ পশু
যে পশুর শরীরের কোনো অঙ্গ গুরুতরভাবে ভেঙে গেছে বা মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, যেমন পা ভেঙে ঝুলে আছে বা হাঁটতে গিয়ে কষ্ট হয়—তাদের কোরবানি শুদ্ধ হবে না।
৪. দাঁতের গুরুতর সমস্যা
সব দাঁত পড়ে গেছে বা অধিকাংশ পড়ে গেছে, যার ফলে পশুটি ভালোভাবে খাবার চিবিয়ে খেতে অক্ষম—এমন পশু দিয়ে কোরবানি করা যাবে না। কারণ কোরবানির পশু সুস্থ ও সবল হতে হবে।
৫. শিং ভেঙে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে
যদি কোনো পশুর শিং গোড়া থেকে ভেঙে গিয়ে মস্তিষ্কে আঘাত করে, তাহলে তার কোরবানি বৈধ নয়। তবে শুধু শিং ভেঙে গেলেও যদি মস্তিষ্ক অক্ষত থাকে, তাহলে কোরবানি বৈধ। এমনকি জন্মগতভাবে যেসব পশুর শিং ওঠে না, তাদের কোরবানিও জায়েজ।
৬. কান বা লেজ কাটা থাকলে
যেসব পশুর কান বা লেজ অর্ধেক বা তার চেয়েও বেশি অংশ কাটা—তাদের কোরবানি বৈধ নয়। কিন্তু যদি কোনো পশুর কান জন্মগতভাবে ছোট হয়, তা হলে সমস্যা নেই।
কোরবানি হোক সচেতনতার প্রতীক
ইবাদতের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য ও পরিপূর্ণতা ইসলামের একটি মূলনীতি। তাই কোরবানির পশু নির্বাচনেও এই নীতির প্রতিফলন ঘটানো উচিত। শুধু দামে কম বলে কোনো ত্রুটিযুক্ত পশু কিনে নেওয়া, কিংবা বাহ্যিকভাবে সুস্থ মনে হলেও অভ্যন্তরীণভাবে দুর্বল পশু নির্বাচন করা—এসবই ইবাদতের মান ক্ষুণ্ন করতে পারে।
ঈদের এই আনন্দময় ইবাদত যেন শুদ্ধভাবে আদায় হয়, তা নিশ্চিত করতে পশু কেনার সময় এসব দিক বিবেচনায় রাখা জরুরি। ইবাদতের মূল লক্ষ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি—সেই লক্ষ্যেই হোক আমাদের সব প্রস্তুতি।
মোঃ রাজিব/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ঈদের আগে সোনার বাজারে স্বস্তি, আসলো নতুন সিদ্ধান্ত
- আইপিএল শেষে দুঃসংবাদ দিলেন মুস্তাফিজ
- বাংলাদেশে আজকের সোনা বাজার মূল্য: ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- ছক্কার বদলে এক রান, আম্পায়ারকে একহাত নিলেন প্রীতি
- পুঁজিবাজারে বড় সাত সিদ্ধান্ত: ডেরিভেটিভ লেনদেনের যুগে প্রবেশ, কমল বিও হিসাব ফি
- রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন ড. ইউনূস
- ঈদের আগে শিক্ষকদের মুখে হাসি, সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়
- সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সোনার দোকান
- ডিএসই-ডিবিএ বৈঠকে পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে যুগান্তকারী প্রস্তাবনা
- বাংলাদেশ-পাকিস্তান: শেষদিকে হঠাৎ বিপর্যয়, বদলে গেল ম্যাচ
- আইপিএলে সাকিবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে মুস্তাফিজ, স্টার্কও পিছনে
- ১ লাখ ৯০ হাজারের গরু ৭০ হাজারে
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪টি কোম্পানি লাইসেন্স বাতিলেরউদ্যোগ
- ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আসছে, ৪ বিভাগে রেকর্ড বৃষ্টির আশঙ্কা
- সৌদি আরব ও বাংলাদেশে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা