ঢাকা, সোমবার, ২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মায়ামির হয়ে  নতুন ইতিহাস গড়লেন মেসি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ০১ ১২:২২:১৪
মায়ামির হয়ে  নতুন ইতিহাস গড়লেন মেসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ইন্টার মায়ামির হয়ে নিজের অভাবনীয় ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখলেন লিওনেল মেসি। রোববার (১ জুন) সকালে কলম্বাসের বিপক্ষে ম্যাচে জোড়া গোল ও জোড়া অ্যাসিস্ট করে দলকে বড় জয়ে নেতৃত্ব দেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। একই সঙ্গে এমএলএসে নিজের নামের পাশে যুক্ত করলেন নতুন একটি মাইলফলক—ইন্টার মায়ামির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড এখন মেসির দখলে।

চেজ স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচটিতে কলম্বাসকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে মেসির ইন্টার মায়ামি। ম্যাচজুড়ে দাপট দেখান তিনি। ১৩ মিনিটেই এক নিখুঁত লং পাসে সতীর্থ তাদেও আলেন্দেকে দিয়ে ম্যাচের প্রথম গোল করান। মাত্র দুই মিনিট পর, ১৫ মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুল কাজে লাগিয়ে নিজেই স্কোরশিটে নাম তোলেন মেসি।

২৪ মিনিটে আসে তার দ্বিতীয় গোল, মাঝমাঠ থেকে সের্হিও বুসকেতসের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অসাধারণ ফিনিশিংয়ে জালে জড়ান বল। গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে শটটি পাঠান তিনি। এই গোলে মেসির এমএলএস গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ৩১-এ, যা ইন্টার মায়ামির হয়ে সর্বোচ্চ। তার আগে শীর্ষে ছিলেন মেসির সাবেক আর্জেন্টাইন সতীর্থ গঞ্জালো হিগুয়েইন, যার গোলসংখ্যা ছিল ২৯টি।

বিরতির পর একবার ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল কলম্বাস। ৫৮ মিনিটে সিজার রুভালকাবার গোলে ব্যবধান কমায় তারা। তবে সেটি ছিল শুধুই সাময়িক। ৬৪ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে আবারও ব্যবধান বাড়ায় মায়ামি। আর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে মেসির পাস থেকেই ফাফা পিকাল্ট গোল করে ৫-১ গোলের বিশাল জয় নিশ্চিত করেন।

ম্যাচ পরিসংখ্যানে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান খুব বেশি ছিল না। বল দখলে মায়ামি এগিয়ে ছিল সামান্যই—৫১ শতাংশ, যেখানে কলম্বাসের দখলে ছিল ৪৯ শতাংশ। শটেও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা—মায়ামির ১৪ শটের বিপরীতে কলম্বাস নেয় ১২টি। তবে লক্ষ্যে রাখা শটেই পার্থক্য গড়ে দেয়। মায়ামি ৭টি শট লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়, যার মধ্যে ৫টি ছিল সফল। কলম্বাস কেবল একটি শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে।

এই জয়ে এমএলএসের পূর্বাঞ্চলীয় কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকায় বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে গেল ইন্টার মায়ামি। ১৮ ম্যাচে ৮ জয়, ৫ ড্র ও ৩ হারে তাদের সংগ্রহ ২৯ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়ার চেয়ে তাদের পেছনে পড়তে হয়েছে মাত্র ৫ পয়েন্টে, যদিও মেসির দল একটি ম্যাচ কম খেলেছে।

সরাসরি খেলার ফলের চেয়েও আলোচনার কেন্দ্রে মেসির রেকর্ড ভাঙা পারফরম্যান্স। গোল করানো, গোল করা, নেতৃত্ব দেওয়া—সব দায়িত্বই যেন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে মায়ামির কোচ ও সতীর্থরা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মেসিকে, বলছেন, ‘তাকে শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয়, অনুপ্রেরণা হিসেবেও আমরা দেখি।’

ইন্টার মায়ামির জার্সিতে আরেকটি রেকর্ড গড়া রাত শেষে ফুটবলবিশ্বের একটাই আলোচনা—৩৬ বছর বয়সেও লিওনেল মেসি থামছেন না, বরং আরও নতুন উচ্চতায় পা রাখছেন।

মোঃ রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াতে ইসলামী

নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াতে ইসলামী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ এক যুগের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। রাজনীতির নিষিদ্ধপ্রায় গণ্ডি থেকে বেরিয়ে ফের বৈধতার ছায়াতলে ফিরল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।... বিস্তারিত