ঢাকা, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আরাফার দিনে যে আমল ও দোয়াটি পড়বেন, আল্লাহ সরাসরি কবুল করবেন!

২০২৫ জুন ০৫ ০৩:৩৪:৪৭
আরাফার দিনে যে আমল ও দোয়াটি পড়বেন, আল্লাহ সরাসরি কবুল করবেন!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৯ জিলহজ, আরাফার দিন ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র ও শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর মধ্যে একটি। এ দিনটিকে “দোয়া কবুলের দিন” হিসেবে নবী করীম (সা.) ঘোষণা করেছেন। হাজিরা আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে তওবা, দোয়া ও ইবাদত করেন। তবে হাজি হোন বা না হোন, প্রতিটি মুসলমানের জন্য আরাফার দিন দোয়া ও আমলের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ফিরবার সেরা সুযোগ।

আরাফার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আরাফার দিনের মতো আর কোনো দিন এত বেশি পরিমাণে বান্দাদের জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয় না।” (সহিহ মুসলিম)

এই দিন আল্লাহ বান্দাদের কাছে খুবই কাছে আসেন, তাওবা ও ক্ষমার দরজা খুলে দেন। তাই এ দিনের আমল ও দোয়া অত্যন্ত বিশেষ।

আরাফার দিনে সর্বোত্তম আমল ও দোয়া

১. আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা (তাওহীদ) ও মহানত্মা লাফজা পড়া:

لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ ٱلْمُلْكُ وَلَهُ ٱلْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িং কাদির।অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই। রাজত্ব এবং প্রশংসা তাঁরই, এবং তিনি সবকিছুর উপর সক্ষম।

এই দোয়া নবী করীম (সা.) ও তাঁর পূর্ববর্তী নবীরা আরাফার দিনে পড়তেন এবং এটি সর্বোত্তম দোয়া হিসেবে বিবেচিত। (তিরমিজি, মুয়াত্তা মালিক)

২. তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা: নিজের সকল গুনাহ থেকে তওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

৩. কোরআন তিলাওয়াত ও দরুদ শরিফ পাঠ: মন ও আত্মা শুদ্ধ করার জন্য।

৪. তাকবীর, তাহলীল, তাসবিহ ও হামদ বেশি বেশি পাঠ:

“আল্লাহু আকবার”, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, “সুবহানাল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ” ইত্যাদি।

আরাফার দিনের দোয়া করার সেরা সময়

আরাফার দিন ফজরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া ও আমল করা উত্তম। তবে বিশেষভাবে হাজিরা যখন জোহর ও আছরের নামাজ একত্রে আদায় করে, তখন থেকেই সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টিই আরাফার মূল ওকুফের সময় হিসেবে গণ্য। এ সময় আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাতের বর্ষণ বেশি।

দোয়া ও আমল যেন না মিস করেন

আরাফার দিন শুধু হাজিদের জন্য নয়, প্রতিটি মুসলমানের জন্য মহান করুণা ও মাগফিরাত লাভের দিন। তাই আজকের দিনটি যেন আল্লাহর কাছে ফেরার, নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার ও দোয়া করার মাধ্যমে জীবনের সব কষ্ট দূর করার দিন হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর করুণা ও মাগফিরাত দান করুন। আমিন।

আপনার জন্য একান্ত পরামর্শ: আজ আরাফার দিনে উপরের দোয়াটি অন্তত ১০ বার পড়ুন, সঙ্গে তাওবা করুন এবং আল্লাহর দরবারে বিনীত হোন। এই দিনটি আপনার জন্য যেন শান্তি, মাগফিরাত ও রহমতের বার্তা নিয়ে আসে।

FAQ (প্রশ্ন ও উত্তর):

১. আরাফার দিন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

আরাফার দিন হলো হজের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন, যখন আল্লাহ বান্দাদের কাছে খুবই কাছে আসেন এবং দোয়া কবুল করেন।

২. আরাফার দিনে কোন দোয়া সবচেয়ে উত্তম?

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু... দোয়া নবীজী (সা.) ও পূর্ববর্তী নবীরা পড়তেন এবং এটি সবচেয়ে উত্তম দোয়া হিসেবে পরিচিত।

৩. আরাফার দিনের দোয়া করার সেরা সময় কখন?

ফজরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত, বিশেষ করে জোহর ও আছরের নামাজ একত্রে আদায়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

৪. হাজি না হলে কি আরাফার দিনে দোয়া করা যাবে?

অবশ্যই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য এ দিন দোয়া ও তওবা করার বিশেষ সুযোগ।

আব্দুর রহিম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ