১০ মাসে নতুন আইপিও নেই: স্থবিরতায় শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪ সালের মাঝামাঝি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেছে। এই সময়ে পুঁজিবাজারে একটি নতুন কোম্পানিও প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) নিয়ে আসেনি। এই দীর্ঘ সময় আইপিওশূন্য থাকার বিষয়টি বাজারের সার্বিক গতিশীলতার অভাব এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার স্পষ্ট প্রতিফলন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর নতুন নেতৃত্বে আসে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দায়িত্ব নেন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৫,৭৭৫ পয়েন্টে। কিন্তু নতুন নেতৃত্ব গ্রহণের পর এক দশক নয়, মাত্র ১০ মাসের ব্যবধানে বাজারে কোনো নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়নি, বরং এর বিপরীতে বাতিল করা হয়েছে ১৭টি আইপিও আবেদন—যা কমিশনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন।
এই সময়ে আইপিও প্রবাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাজার থেকে কোনো মূলধন উত্তোলন করতে পারেনি কোনো কোম্পানি। অথচ ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিগুলো নিয়মিতভাবে মূলধন সংগ্রহ করে ব্যবসায় সম্প্রসারণে ব্যবহার করেছে।
২০২৪ সালে সর্বশেষ যে চারটি কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে বাজারে আসে, তারা হলো: এনআরবি ব্যাংক, বেস্ট হোল্ডিং, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ এবং টেকনো ড্রাগস। এই চারটি কোম্পানি মিলিয়ে বাজার থেকে উত্তোলন করে প্রায় ৬৪৫ কোটি টাকা। এরপর থেকে আর কোনো কোম্পানি আইপিও অনুমোদন পায়নি।
শেয়ারবাজারের দুইটি প্রধান ধাপ—প্রাইমারি মার্কেট ও সেকেন্ডারি মার্কেট—বর্তমানে উভয়ই স্থবির। প্রাইমারি মার্কেট নতুন কোম্পানিকে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ দিলেও বর্তমানে সেই প্রবাহ বন্ধ থাকায় কোম্পানিরা ব্যবসা সম্প্রসারণে সংকটে পড়ছে। অন্যদিকে, সেকেন্ডারি মার্কেটের নিম্নমুখী প্রবণতা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকি ও ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রাইমারি মার্কেটে কম আইপিও মানে হচ্ছে সম্ভাব্য রিটার্ন থেকে বঞ্চিত হওয়া, যদিও সরাসরি আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু সেকেন্ডারি মার্কেটে মূল্যপতন ও লেনদেনের নিম্ন হার তাদের পোর্টফোলিওতে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
নতুন কোম্পানির অনুপস্থিতি, আইপিও বাতিলের উচ্চ হার, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিগত অনিশ্চয়তা—এই চারটি ফ্যাক্টর একত্রে পুঁজিবাজারের স্থবিরতা দীর্ঘায়িত করছে।
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন স্পষ্ট নীতি-নির্ধারণ, গ্রহণযোগ্য কোম্পানিকে দ্রুত তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফেরানোর কার্যকর কৌশল।
মো: রাজিব আলী/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চলছে নেপাল বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- নেপাল বনাম বাংলাদেশ: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- সরকারের মাস্টারপ্ল্যান: শেয়ারবাজারে আসছে বড় পরিবর্তন, তৈরি হন!
- আজ বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ: লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- আগামীকাল বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ: লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- আশ্চর্যজনক উত্থান: জেড গ্রুপের ৪ শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের ঢল, কেন?
- সতর্ক! ১১ কোম্পানির শেয়ার ডুবছে বিনিয়োগকারীরা, বিনিয়োগে ঝুঁকি?
- বাংলাদেশ বনাম ইয়েমেন: ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- বিনিয়োগকারীদের কপালে ভাঁজ: দুই খাতের ৭ শেয়ারে আশঙ্কার মেঘ
- নেপাল বনাম বাংলাদেশ: প্রথমার্ধ শেষ, জেনে নিন সর্বশেষ ফলাফল
- কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
- আজ বাংলাদেশ বনাম নেপাল ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায়
- চলছে বাংলাদেশ বনাম ইয়েমেন ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- বাংলাদেশ বনাম ইয়েমেন: ৮০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন সর্বশেষ ফলাফল
- সেনাবাহিনীর কঠোর হুঁশিয়ারি