ঢাকা, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কড়া সতর্কবার্তা

শিক্ষা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ১৫:১৪:৪৯
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কড়া সতর্কবার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার এখন থেকে থাকবে কড়া নজরদারির আওতায়। ব্যক্তিগত প্রোফাইল হলেও দায়িত্বশীলতা থেকে মুক্তি নেই। ফেসবুকসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে শিক্ষক-কর্মচারীদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

বুধবার (১৮ জুন) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক এবং ‘সোশ্যাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটি’র প্রধান তাপস কুমার অধিকারীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ অনুসরণ করে শিক্ষক-কর্মচারীদের কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না, তার একটি সুস্পষ্ট কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য মাঠপর্যায়ে গঠন করা হয়েছে তিন স্তরের মনিটরিং টিম। বিভাগীয় পর্যায়ে সাত সদস্যের, জেলা পর্যায়ে ছয় সদস্যের এবং উপজেলা বা থানা পর্যায়ে ছয় সদস্যের পৃথক মনিটরিং টিম গঠিত হয়েছে।

এই টিমগুলো শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট, মন্তব্য, শেয়ার বা অন্যান্য অনলাইন কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করবে। এতে রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য, গুজব ছড়ানো, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, রাজনৈতিক উস্কানি কিংবা সরকারি গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মতো কার্যক্রম চিহ্নিত করা হবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ‘সোশ্যাল মিডিয়া তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপন কমিটি’র দুটি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। মনিটরিং টিমগুলো এসব নির্দেশনার আলোকে কাজ শুরু করেছে।

প্রত্যেক টিমকে মাসে অন্তত একবার সভা আয়োজন করতে বলা হয়েছে, যেখানে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে প্রতিমাসে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কিত তথ্য চিহ্নিত করে বিভাগীয় সমন্বিত প্রতিবেদন আকারে প্রধান কমিটির কাছে পাঠাতে হবে।

প্রশাসনের একাধিক সূত্র বলছে, অতীতের কিছু ঘটনায় সরকারি শিক্ষকদের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও বানোয়াট তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রাথমিক পর্যায়ে কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার।

এই নির্দেশনার ফলে এখন থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের শুধুই শ্রেণিকক্ষে নয়, ফেসবুকেও হতে হবে সচেতন, সংবেদনশীল ও দায়িত্ববান। কারণ, অনলাইনে করা প্রতিটি মন্তব্যই হতে পারে মূল্যায়নের অংশ।

সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা বিধিমালার আওতায় থাকা শিক্ষকরা ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করতে পারবেন ঠিকই, তবে সেটি হতে হবে নিরপেক্ষ, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি রক্ষাকারী এবং কোনোভাবেই সহকর্মী, প্রশাসন বা দেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক নয়।

নতুন এই নজরদারি ব্যবস্থা কার্যকর হলে শিক্ষক সমাজে পেশাদারিত্ব ও আচরণবিধি আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

দাবি না মানলে রবিবার ‘ঢাকা ব্লকেড’

দাবি না মানলে রবিবার ‘ঢাকা ব্লকেড’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্দোলন এখন আর শুধু ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের একক প্রতিবাদ নয়। এটি পরিণত হয়েছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর... বিস্তারিত