প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণে একমত জামায়াত-এনসিপি, ভিন্ন সুরে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে, অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালনের বিধান—এ প্রস্তাবটি ঘিরে এবার দেশের রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নতুন আলোচনার আবহ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাম্প্রতিক প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে ৩৩টি রাজনৈতিক দলের আলোচনায় মিলেছে একাধিক দলীয় মত, মতভেদ এবং সম্ভাবনার নানা দিক।
রোববার (২২ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এসব তথ্য জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি জানান, “প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে একটি সুপারিশ দিয়েছি—সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ। ৩৩টি দলের মধ্যে ৩০টি দল এতে একমত হয়েছে। শুধু বিএনপি, বিএনপিরই একটি ভাঙনধর্মী অংশ বিএনপির (বিএলডিপি) এবং এনডিএম এ প্রস্তাবে সায় দেয়নি। তবে আমরা আলোচনার পথেই থাকতে চাই, তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নয়।”
এই প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি (এনসিপি)। এই দুটি দল এককালের রাজপথের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়মতান্ত্রিক কাঠামো নির্ধারণে এবার একসুরে কথা বলছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, “আমরা শুধু একজন প্রধানমন্ত্রী কত বছর দায়িত্ব পালন করবেন, সেটি নিয়েই ভাবছি না—আমরা গোটা শাসন কাঠামোতেই ভারসাম্য আনতে চাই। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার সীমা ও ভারসাম্য, সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব, সাংবিধানিক পদে নিয়োগে একটি স্বাধীন কমিশনের ভূমিকা—সবই আলোচনার মধ্যে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ঐকমত্য না হলেও বিরোধী মতের প্রতি রয়েছে সম্মান। “যদি কেউ ভিন্নমত পোষণ করেন, তবে সে মত জনগণের সামনে তুলে ধরার সুযোগ থাকবে। এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।”
এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া আলোচনায় ৩৩টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন। দ্বিতীয় ধাপের এই সংলাপ শুরু হয় গত ১৭ জুন থেকে, যার মাধ্যমে আগের পর্যায়ে যেসব প্রস্তাবে ভিন্নমত দেখা দিয়েছিল, তা নিরসনের পথ খোঁজা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত কমিশন ৩৩টি দল ও জোটের সঙ্গে ৪৫টি পৃথক অধিবেশনে অংশ নেয়। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে ঐকমত্য হলেও, কিছু মূল বিষয়ে দলগুলোর মতভেদ থেকে যায়। সেই মতভেদ ঘোচাতে ও একটি যুগোপযোগী, গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক কাঠামোর খসড়া দাঁড় করাতেই চলছে এই দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ।
দেশের ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থার রূপরেখা কেমন হবে—তা নির্ধারণে এ আলোচনাগুলো ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। একদিকে আছে সময়ের দাবি, অন্যদিকে রাজনৈতিক সমঝোতার বাস্তবতা। এই দুইয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে, ধাপে ধাপে একটি টেকসই গণতন্ত্রের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।
মো: রাজিব আলী/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম টেস্ট প্রথম দিনেই বাংলাদেশ ৪ রেকর্ড
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: বৃষ্টির কারণে বন্ধ ম্যাচ
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ
- মারা গেলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোস্তফা মোহসীন মন্টু
- আলোচিত ১০ সিনেমা যেখানে নায়ক-নায়িকা সত্যি মিলিত হয়েছেন
- শেখ হাসিনা যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন, জানালেন অলি
- আ. লীগের কার্যক্রম স্থগিত, নিষিদ্ধ করা হয়নি: ড. ইউনূস
- মারা গেলেন ভারতের উদিয়মান তারকা ক্রিকেটার
- আজ ৮ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, থাকুন সতর্ক
- ৬০ কোম্পানির কাছে মূলধন রোডম্যাপ চাইল বিএসইসি
- সাকিবসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা: নাম প্রকাশ
- সাপে কামড়ানোর পর ১০ মিনিটের মধ্যে যা করবেন, তাতেই বাঁচবেন
- করোনা সংক্রমণ: স্কুল বন্ধ নাকি চলবে, সিদ্ধান্ত জানালো মাউশি
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: শান্ত-নিসাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ড্র টেস্ট
- সোনার দামে বড় পতনের শঙ্কা, আসছে বড় পরিবর্তন