খাদ্য খাতের কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক পণ্যের খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ৯টি কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারধারণ ১০ শতাংশের নিচে অবস্থান করছে। সংশ্লিষ্ট সময় পর্যন্ত ডিএসই সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশ তুলনামূলকভাবে বেশি, যা বাজার কাঠামো এবং বিনিয়োগকারীদের আচরণ বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
নিচে কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ শেয়ারহোল্ডিং কাঠামো উপস্থাপন করা হলো:
১. অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড
মোট শেয়ার: ৫৭,০২,৪০০টি
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার: ৪.৭৫%
উদ্যোক্তা/পরিচালক: ৫৩.৩৯%
সাধারণ বিনিয়োগকারী: ৪১.৮৬%
২. বঙ্গজ লিমিটেড
মোট শেয়ার: ৭৬,২৪,৬৪৩টি
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার: ৫.৭১%
উদ্যোক্তা/পরিচালক: ৩০.৯৯%
বিদেশি: ০.১০%
সাধারণ বিনিয়োগকারী: ৬৩.২০%
৩. এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
মোট শেয়ার: ৯,১২,৭২,০৪টি
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার: ৪.১৭%
উদ্যোক্তা/পরিচালক: ৫৪.৫০%
বিদেশি: ০.০২%
সাধারণ বিনিয়োগকারী: ৪১.৩১%
৪. ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড
মোট শেয়ার: ১১,০৮,৩৯,২৮৪টি
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার: ৮.৭১%
উদ্যোক্তা/পরিচালক: ৭.৮৫%
বিদেশি: ০.০১%
সাধারণ বিনিয়োগকারী: ৮৩.৪৩%
৫. জেমিনি সি ফুডস লিমিটেড
মোট শেয়ার: ১,১৪,৮৫,৪১৮টি
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার: ৮.৭১%
উদ্যোক্তা/পরিচালক: ৭.৮৬%
বিদেশি: ০.০১%
সাধারণ বিনিয়োগকারী: ৮৩.৪৩%
৬. মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
মোট শেয়ার: ১,৬০,০০,০০০টি
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার: ৬.৭৫%
উদ্যোক্তা/পরিচালক: ৩৭.৪৩%
সাধারণ বিনিয়োগকারী: ৫৫.৮২%
৭. মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড
মোট শেয়ার: ১,২০,০০,০০০টি
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার: ৬.৩৫%
উদ্যোক্তা/পরিচালক: ৪৩.৫৫%
সাধারণ বিনিয়োগকারী: ৫০.১০%
৮. রহিমা ফুড করপোরেশন
মোট শেয়ার: ২,০০,০০০০০টি
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার: ৬.২৯%
উদ্যোক্তা/পরিচালক: ৩৭.৩৮%
বিদেশি: ৬.২৯%
সাধারণ বিনিয়োগকারী: ৫২.৫৮%
৯. ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড
মোট শেয়ার: ১,৯২,৭৪,৩১৮টি
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার: ৩.৫০%
উদ্যোক্তা/পরিচালক: ৯২.৮০%
বিদেশি: ০.১১%
সাধারণ বিনিয়োগকারী: ৩.৫৯%
বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারের অনুপাতে এই পতন বাজারে কোম্পানিগুলোর প্রতি দীর্ঘমেয়াদি আস্থা ও পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সাধারণত মৌলভিত্তি, সুশাসন এবং ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে বিনিয়োগ করে থাকেন। তাই তাদের অংশীদারিত্ব হ্রাস পাওয়া কোম্পানিগুলোর জন্য একটি সতর্কতা সংকেত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
অপরদিকে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশ বাড়ার অর্থ হচ্ছে—এ খাতে খুচরা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি, যা দাম অস্থিরতার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের আরও সতর্ক থাকতে হবে এবং কোম্পানির আর্থিক ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়াই যৌক্তিক হবে।
মো: রাজিব আলী/
তথ্যসূত্র: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চুপ্পুকে সরিয়ে জাতীয় নির্বাচনে আগে নতুন রাষ্ট্রপতি চান পিনাকি
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: প্রথম ওয়ানডেতে লড়াকু টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা
- ৮ গোল: শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম বাহারাইনের মধ্যকার ম্যাচের ৯০ মিনিটের খেলা
- নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব পয়েন্ট টেবিল: গ্রুপ সি-তে উড়ছে বাংলাদেশ
- মাহিয়া মাহির মৃত্যু গুজব: সত্য ও মিথ্যার বিশ্লেষণ
- জেতা ম্যাচ হেরে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ
- ফাফ ডু প্লেসির ডাবল সেঞ্চুরি রেকর্ডে কাঁপছে ক্রিকেট বিশ্ব
- চেলসি বনাম পালমেইরাস কোয়ার্টার-ফাইনাল: ১-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ
- পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি: ৪-০ গোলে শেষ হলো ম্যাচ
- কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন ফখরুল, চোখের জলে ভেসে গেল শেষ বিদায়
- আল-হিলাল বনাম ফ্লুমিনেন্স: নাটকীয়ভাবে শেষ হলো কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে দুই পরিবর্তন
- বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার: আবারও গোল, ৯০ মিনিটের খেলা শেষ
- বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার: লাইভ দেখবেন যেভাবে
- অ-১৮ এশিয়া কাপে জাপানের কাছে ১১-০ গোলে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ