নামজারি থেকে দলিল—ঘরে বসেই পাবেন সব জমির তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: জমি সংক্রান্ত কাজ মানেই আগে ছিল দালালের খপ্পরে পড়া, অফিসে বারবার দৌড়ঝাঁপ, আর অযথা সময়ক্ষেপণ। তবে সেই ভোগান্তির দিন শেষ হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার চালু করেছে অটোমেটেড ভূমি সেবা, যার ফলে নাগরিকরা এখন থেকে ঘরে বসেই জমির নামজারি, পর্চা, খতিয়ান, দলিল দেখা এমনকি অভিযোগ দাখিল ও নিষ্পত্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা নিতে পারবেন।
অনলাইনে নামজারি ও পর্চা
এখন আর ভূমি অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। নাগরিকরা ঘরে বসেই অনলাইনে জমির নামজারি, পর্চা ও রেকর্ড দেখতে পাবেন। শুধু আবেদন করলেই অগ্রগতি অনলাইনে ট্র্যাক করা যাবে।
সার্ভিস ট্র্যাকিং সিস্টেম
অটোমেটেড ভূমি সেবার অংশ হিসেবে চালু হয়েছে সার্ভিস ট্র্যাকিং সিস্টেম। এর মাধ্যমে—
কোনো অভিযোগ বা আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকলে সহজেই জানা যাবে সেটি কোন পর্যায়ে আছে।
নিষ্পত্তিতে দেরি হলে তার কারণ অনলাইনে দেখানো হবে।
কেউ যদি ঘুষ বা অতিরিক্ত টাকা দাবি করে, তবে সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে অভিযোগ দাখিল করা যাবে।
পুরনো খতিয়ান ও দলিল অনলাইনে
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী,
১৮৮৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত সিএস, এসএ, আরএস, বিএস, দায়রা জরিপ, সিটি জরিপসহ সব খতিয়ান ধাপে ধাপে যুক্ত হবে অনলাইনে।
১৯০৮ সাল থেকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে থাকা সব ভূমি নিবন্ধিত দলিলও অনলাইনে আনা হবে।
যদি কোনো নাগরিক অনলাইনে তার খতিয়ান বা দলিল না পান, তবে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিয়ে নির্ধারিত সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে তা আপলোড করাতে পারবেন।
জনগণের সুবিধা
নতুন এই ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে—
জমির মালিকরা সহজেই ঘরে বসেই সব তথ্য পাবেন।
অভিযোগ বা আবেদন কতদূর অগ্রসর হলো তা সরাসরি অনলাইনে জানা যাবে।
ভূমি অফিসে ঘুষ ও হয়রানি অনেকাংশে কমে যাবে।
হারানো দলিল বা খতিয়ান উদ্ধার করে ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করা যাবে।
বিশেষজ্ঞের আশা
ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন,
“অটোমেটেড ভূমি সেবা চালুর ফলে ভূমি খাতে দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও দেরির সংস্কৃতি দূর হবে। সাধারণ মানুষ ঘরে বসেই প্রকৃত ভূমি সেবা পাবে।”
আরও পড়ুন:ভাই সম্পত্তি না দিলে বোন কীভাবে অধিকার ফিরিয়ে পাবেন? জানুন
FAQ:
প্রশ্ন: এখন কি নামজারি ও পর্চা ঘরে বসেই দেখা যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, অনলাইনে আবেদন করে সহজেই নামজারি ও পর্চা দেখা যাবে।
প্রশ্ন: পুরনো খতিয়ান ও দলিল কবে অনলাইনে আসবে?
উত্তর: ১৮৮৮ সালের খতিয়ান এবং ১৯০৮ সালের দলিল থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে যুক্ত হবে।
প্রশ্ন: যদি অনলাইনে দলিল বা খতিয়ান না পাই?
উত্তর: জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিয়ে নির্ধারিত চার্জে তা অনলাইনে আপলোড করানো যাবে।
আল-আমিন ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- দেশের রাজনীতি নতুন মোড়: সেনাপ্রধানের শঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে
- জামায়াত, বিএনপি, এনসিপি অনড়, সত্যি হতে চলেছে সেনা প্রধানের ভবিষ্যদ্বাণী
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম পার্থ স্কর্চার্সের মধ্যকার ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বিক্রেতা সংকট: সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পেয়ে হল্টেড ৮ কোম্পানি
- রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড়, নীরব বিদায়ের ইঙ্গিত?
- চমক দেখালো ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার
- বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ৮ কোম্পানির শেয়ার
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট(১৮ আগস্ট ২০২৫)
- বিক্রেতা সংকটে হল্ডেট ৩ কোম্পানি
- উপদেষ্টা আসিফের বাবা বিল্লাল মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হোক, সবকিছু বেরিয়ে যাবে
- ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারে চমক
- ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনে যুগান্তকারী পরিবর্তন, বয়সেও আসছে ছাড়
- সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ: বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কখন কোথায় ও লাইভ দেখার উপায়
- আজ বাংলাদেশে ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য
- দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মানতে হবে যেসব শর্ত