ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে ১৫ ব্যাংকের

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ১০ ২৩:০৫:২৬
২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে ১৫ ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৩টি ব্যাংক তাদের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, এ সময়ের মধ্যে ১৫টি ব্যাংক আগের বছরের তুলনায় বেশি মুনাফা করেছে। ১৭টি ব্যাংকের মুনাফা কমেছে এবং একটি ব্যাংকের মুনাফা অপরিবর্তিত রয়েছে।

মুনাফা বৃদ্ধির এ তালিকায় রয়েছে দেশীয় ও বিদেশি শেয়ারধারীদের আগ্রহের শীর্ষে থাকা কয়েকটি ব্যাংক। নিচে ইপিএস বৃদ্ধির হিসাব অনুযায়ী সংক্ষিপ্তভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হলো:

মুনাফা বৃদ্ধির হিসাব (২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ):

ব্যাংকের নাম২০২৫ সালের ইপিএস২০২৪ সালের ইপিএসবৃদ্ধি (পয়সায়)
ব্যাংক এশিয়া ১.৪২ টাকা ০.৬৭ টাকা ০.৭৫
ব্র্যাক ব্যাংক ২.২৭ টাকা ১.৫৪ টাকা ০.৭৩
ঢাকা ব্যাংক ০.৮৪ টাকা ০.৭৬ টাকা ০.০৮
ইস্টার্ন ব্যাংক ১.১৪ টাকা ১.০৭ টাকা ০.০৭
যমুনা ব্যাংক ২.০৪ টাকা ১.৮৬ টাকা ০.১৮
মার্কেন্টাইল ব্যাংক ০.৮৪ টাকা ০.৭৩ টাকা ০.১১
মিডল্যান্ড ব্যাংক ০.১৬ টাকা ০.১২ টাকা ০.০৪
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ০.৮৭ টাকা ০.৭৮ টাকা ০.০৯
এনসিসি ব্যাংক ০.২৫ টাকা ০.১৫ টাকা ০.১০
এনআরবি ব্যাংক ০.০৬ টাকা ০.০২ টাকা ০.০৪
ওয়ান ব্যাংক ০.৬১ টাকা ০.৩৯ টাকা ০.২২
প্রাইম ব্যাংক ১.৮৫ টাকা ১.১৬ টাকা ০.৬৯
পূবালী ব্যাংক ১.৬০ টাকা ১.৫৪ টাকা ০.০৬
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ০.১৫ টাকা ০.১৪ টাকা ০.০১
উত্তরা ব্যাংক ১.৪৬ টাকা ০.৬৮ টাকা ০.৭৮

বিশ্লেষণ:

মোট ১৫টি ব্যাংক বছরওয়ারি তুলনায় ইপিএসে (Earnings Per Share) প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ছিল উল্লেখযোগ্য। যেমন, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংক উল্লেখযোগ্য হারে ইপিএস বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। উত্তরা ব্যাংকের ইপিএস এক বছরে বেড়েছে প্রায় ১১৫ শতাংশ।

ব্যাংকগুলোর এই আয় বৃদ্ধির পেছনে মূলত সুদের আয়ে উন্নতি, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, ঋণ পুনঃতফসিলিকরণে অগ্রগতি এবং খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনায় কঠোরতা ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি আমদানি ব্যয় কম থাকায় বৈদেশিক লেনদেন ও কমিশন আয়েরও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

তবে, ১৭টি ব্যাংকের মুনাফা হ্রাস পাওয়া এবং ১টির অপরিবর্তিত থাকা ব্যাংকিং খাতের আরও কাঠামোগত সংস্কার এবং পরিচালন দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।

প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, এক তৃতীয়াংশের বেশি ব্যাংক আয় বাড়াতে পেরেছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক বার্তা। তবে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য মুনাফা হ্রাস পাওয়া ব্যাংকগুলোর পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে কাঠামোগত পরিবর্তনের সুপারিশ করা জরুরি।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ