ঢাকা, সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২

‘ফকিন্নির বাচ্চা’ মন্তব্যে তোলপাড়, রুমিন-হাসনাত বাকযুদ্ধ

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৫ ২১:৫২:১১
‘ফকিন্নির বাচ্চা’ মন্তব্যে তোলপাড়, রুমিন-হাসনাত বাকযুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও মুখোমুখি হলো তীর্যক মন্তব্য ও পাল্টা জবাবের ঝড়। বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যে চলমান উত্তেজনা এবার ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত

গত রবিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত শুনানিকে ঘিরে বিএনপি ও এনসিপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এর পরদিন হাসনাত আবদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তোলেন, বিএনপি নাকি ভোটকেন্দ্র দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি একধাপ এগিয়ে রুমিন ফারহানাকে ইঙ্গিত করে বলেন, “বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক রয়েছেন অনেকেই, তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা। তিনি আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ও ফ্ল্যাটভোগী, আর আওয়ামী লীগ থেকেও বেশি আওয়ামী লীগ।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রুমিনের পাল্টা আক্রমণ

হাসনাতের এই বক্তব্যের একদিন পর, সোমবার (২৫ আগস্ট) রুমিন ফারহানা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি লিখেন, “এটা ওই ফকিন্নির বাচ্চাটা না, যে আমাকে আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক বলেছে?”শুধু কথার জবাবেই থেমে থাকেননি রুমিন; বরং তিনি তার পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণস্বরূপ কিছু ছবি ও তথ্যও সংযুক্ত করেন। মুহূর্তেই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে পড়ে, আর নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় নতুন বিতর্ক।

উভয় পক্ষের অবস্থান

হাসনাত আবদুল্লাহর অভিযোগ—“বিএনপি জনগণের আস্থা না বুঝে বরং নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। আন্দোলনের নামে তারা আগাম দখলের রাজনীতি করছে।”অন্যদিকে, রুমিন ফারহানা পাল্টা ব্যাখ্যায় বলেন, “ঘটনার দিন আমাকে প্রথমে এক অচেনা ব্যক্তি ধাক্কা দেন। আমি একজন মহিলা, তাই আমার সহকর্মীরা নিরব থাকতে পারেনি। তাদের প্রতিক্রিয়াই স্বাভাবিক ছিল।”

নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া

ফেসবুক থেকে টুইটার—সব জায়গাতেই দুই পক্ষের এই বাকযুদ্ধ নিয়ে চলছে আলোচনা। কেউ বলছেন, এ ধরনের ভাষা রাজনীতিকে আরও অস্থির করছে, আবার কেউ এটিকে ‘রাজনীতির নতুন রংমঞ্চ’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

সামনে কী হতে পারে?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের উত্তেজনা কেবল দুই দলের দ্বন্দ্বই বাড়াবে না, বরং সমীকরণকেও নতুন মাত্রা দেবে। তবে নীতি-ভিত্তিক রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক মন্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য—সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

মো: রাজিব আলী/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ