ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের নজরে রহিম টেক্সটাইলসহ ৭ কোম্পানি

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ১০ ২৩:৩৫:১৭
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের নজরে রহিম টেক্সটাইলসহ ৭ কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দেশের শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা বজায় ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৩২.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে পৌঁছেছে ৫,০৬৮ পয়েন্টে। বাজারের এই উত্থান ধারায় কয়েকটি নির্দিষ্ট কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল উল্লেখযোগ্য।

স্টকনাও সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, দিনটিতে যেসব কোম্পানির শেয়ার ছিল সর্বাধিক চাহিদার তালিকায়, সেগুলো হলো: রহিম টেক্সটাইল, দেশ গার্মেন্টস, জেমিনি সি ফুডস, ফরচুন সুজ, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন, শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ন্যাশনাল ব্যাংক। এসব কোম্পানির শেয়ারে ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতার অনুপস্থিতিতে শেয়ারগুলো নির্ধারিত সীমায় পৌঁছে লেনদেন স্থগিত (হল্টেড) হয়ে যায়।

দর বৃদ্ধির শীর্ষে রহিম টেক্সটাইল

বৃহস্পতিবার রহিম টেক্সটাইলের শেয়ার দর ১৪ টাকা বা ৯.৯৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৪ টাকা ২০ পয়সায়। শেয়ারটির দর এদিন ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫৪ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত ওঠানামা করে। দিনশেষে কোম্পানিটির মোট ৮৬,৬১৫টি শেয়ার ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়।

দেশ গার্মেন্টস দ্বিতীয়

দিনটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি পায় দেশ গার্মেন্টস। কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১ টাকা ২০ পয়সা বা ৯.৯৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১২৩ টাকা ৬০ পয়সায়। সারাদিনে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১১১ টাকা ও ১২৩ টাকা ৬০ পয়সা। মোট ৪ লাখ ৬ হাজার ১০৫টি শেয়ার ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়।

জেমিনি সি ফুডস তৃতীয়

তৃতীয় সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি হয়েছে জেমিনি সি ফুডসের ক্ষেত্রে। শেয়ারটির দর ১২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৯৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৭ টাকা ৩০ পয়সায়। দিনের সর্বনিম্ন দর ছিল ১২৪ টাকা। লেনদেন হয় ২ লাখ ৬ হাজার ৩৬৬টি শেয়ার, মোট ২ কোটি ৬৯ লাখ ৭ হাজার টাকায়।

অন্যান্য কোম্পানির পারফরম্যান্স

ফরচুন সুজের শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯.৭৪ শতাংশ, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯.৬৪ শতাংশ, শার্প ইন্ডাস্ট্রিজের ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৫৫ শতাংশ এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর ৩০ পয়সা বা ৮.১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি, আগের পারফরম্যান্স এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে প্রভাবিত করেছে। বাজারে সামগ্রিকভাবে ক্রয়চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে এ কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়তে দেখা গেছে।

আল-আমিন ইসলাম/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ