ঢাকা, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

ইন্টার মায়ামি বনাম ন্যাশভিল: ১ গোলে প্রথমার্ধ শেষ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ১৩ ০৬:৪৬:৪১
ইন্টার মায়ামি বনাম ন্যাশভিল: ১ গোলে প্রথমার্ধ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে প্রথমার্ধের খেলা শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইন্টার মায়ামির ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ইন্টার মায়ামির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি।

ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চাইলেও বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল ইন্টার মায়ামি। মাঝমাঠ থেকে ধারাবাহিক পাস এবং আক্রমণের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করে দলটি। তার মধ্যে একটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে লিওনেল মেসি গোল করেন।

ম্যাচের প্রথমার্ধে পরিসংখ্যানের দিক থেকে ইন্টার মায়ামির স্পষ্ট আধিপত্য লক্ষ্য করা গেছে। ইন্টার মায়ামি মোট ৫টি শট নিয়েছে যার মধ্যে ৩টি ছিল লক্ষ্য বরাবর। অন্যদিকে, ন্যাশভিল শট নিতে পেরেছে মাত্র ২টি এবং কোনোটিই লক্ষ্যে ছিল না। বলের দখলেও এগিয়ে রয়েছে ইন্টার মায়ামি, তাদের দখলে ছিল ৫৪ শতাংশ বল, যেখানে ন্যাশভিলের ছিল ৪৬ শতাংশ।

পাসের সংখ্যাতেও এগিয়ে রয়েছে মায়ামি। পুরো প্রথমার্ধে তারা ২৯১টি পাস সম্পন্ন করেছে, যেখানে ন্যাশভিল করেছে ২৪৩টি। পাসের সফলতার হারেও মায়ামি এগিয়ে; ৮৯ শতাংশ পাস সঠিকভাবে পৌঁছেছে সতীর্থের কাছে, যেখানে ন্যাশভিলের সফলতা ৮৩ শতাংশ।

ফাউলের দিক থেকে ন্যাশভিল কিছুটা বেশি আগ্রাসী ছিল। তারা করেছে ৬টি ফাউল, যেখানে ইন্টার মায়ামির ফাউল সংখ্যা ৩টি। প্রথমার্ধে একটি হলুদ কার্ড পেয়েছে ন্যাশভিল, তবে কোনো রেড কার্ড হয়নি দুই দলের পক্ষ থেকেই। অফসাইডের ফাঁদে ইন্টার মায়ামি একবার পড়লেও ন্যাশভিল পড়েছে দুইবার। তবে প্রথমার্ধে কোনো দলই কর্নার কিকের সুযোগ পায়নি।

লাইভ জয়ের সম্ভাবনার দিক থেকে ইন্টার মায়ামি এখন অনেকটা এগিয়ে। হাফটাইমে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইন্টার মায়ামির জয়ের সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ, ড্র হওয়ার সম্ভাবনা ২০ শতাংশ এবং ন্যাশভিলের সম্ভাবনা মাত্র ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।

এই মুহূর্তে ম্যাচের মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তার গোলই এখন পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে ব্যবধান তৈরি করেছে। তার খেলায় নেতৃত্ব, দৃষ্টি এবং ফিনিশিংয়ের দক্ষতা পুরো ম্যাচের গতি নির্ধারণ করছে।

এখন দেখার বিষয়, দ্বিতীয়ার্ধে ন্যাশভিল ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা। আক্রমণভাগকে আরও শক্তিশালী করে তারা ইন্টার মায়ামির রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করতে পারে কিনা, সেটিই দ্বিতীয়ার্ধের মূল আকর্ষণ হতে চলেছে।

ইন্টার মায়ামি যদি এই লিড ধরে রাখতে সক্ষম হয়, তাহলে তারা টেবিলের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। অন্যদিকে, পরাজিত হলে ন্যাশভিলের জন্য অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।

দ্বিতীয়ার্ধের বিস্তারিত আপডেটের জন্য চোখ রাখুন আমাদের পরবর্তী রিপোর্টে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ