ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

খেজুর ও দুধ একসঙ্গে খেলে মিলবে ঠান্ডা-কাশি থেকে মুক্তি

লাইফ স্টাইল ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ৩০ ১০:৪৫:০০
খেজুর ও দুধ একসঙ্গে খেলে মিলবে ঠান্ডা-কাশি থেকে মুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিজন পরিবর্তনের এই সময়ে ঠান্ডা, কাশি এবং গলা ব্যথার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া খুবই সাধারণ। এসব সিজনাল অসুস্থতার দ্রুত প্রতিকার পেতে অনেকে ওষুধের উপর নির্ভর করলেও, প্রকৃতির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এর সহজ ও কার্যকর সমাধান। এমনই একটি ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে—খেজুর ও দুধ একসঙ্গে খাওয়া।

এই দুই উপাদান মিশিয়ে খেলে তা শুধু শরীরকে শক্তি দেয় না, বরং ঠান্ডা-কাশির মতো বিরক্তিকর উপসর্গগুলো প্রশমিত করতেও সহায়তা করে। এটি একটি বহুদিনের প্রাকৃতিক প্রতিকার, যা এখনো সমানভাবে কার্যকর।

কেন খেজুর ও দুধ ঠান্ডা-কাশিতে কাজ করে?

খেজুর হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ একটি ফল, যার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, B1, B2, B3 ও A1-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এসব উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

অন্যদিকে, দুধ শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এবং গলা প্রশমনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। দুধে থাকা প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম শ্বাসনালীকে আরাম দেয় এবং শক্তি জোগায়।

দুইটি উপাদান একসঙ্গে গ্রহণ করলে তা গলার খুসখুসে ভাব কমিয়ে দেয়, কাশির পরিমাণ হ্রাস করে এবং শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে।

খেজুর-দুধ: একটি ঐতিহ্যবাহী ঘরোয়া প্রতিকার

প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন দেশে ঠান্ডা-কাশির প্রাকৃতিক প্রতিকারে খেজুর ও দুধ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হিলিং ফুডস নামে একটি আন্তর্জাতিক পুষ্টিবিষয়ক বইয়েও বলা হয়েছে, খেজুর ইনফিউশন বা সিরাপ সর্দি, ব্রঙ্কাইটিস ও গলা ব্যথার মতো সমস্যায় কার্যকর।

এছাড়া, এই পানীয় শরীরের অ্যানার্জি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে এবং দ্রুত সুস্থতা ফিরে পেতে সহায়তা করে।

খেজুর দুধ তৈরির সহজ রেসিপি

উপকরণ:

দুধ – ২ কাপ

খেজুর – ½ কাপ (বীজ ছাড়ানো ও কুচি করা)

বাদাম – ১.৫ টেবিল চামচ

দারুচিনি গুঁড়া – ½ চা চামচ

মধু বা চিনি – পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালি:

১. কুচি করা খেজুর আধা কাপ দুধে ভিজিয়ে রাখুন ৩০-৪০ মিনিট।

২. এরপর সেটি বাদামসহ ব্লেন্ড করুন।

৩. বাকি দুধ একটি প্যানে ফুটিয়ে ওই মিশ্রণটি যোগ করুন।

৪. এতে মেশান দারুচিনি ও মধু/চিনি।

৫. ৫ মিনিট সেদ্ধ করে গরম গরম পান করুন।

এই পানীয়টি দিনে একবার খেলে ঠান্ডা-কাশির উপশমের পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।

কখন খাবেন সবচেয়ে উপকারী?

রাতে ঘুমানোর আগে খেলে গলা আরাম পায় ও ভালো ঘুম হয়

সকালের ঠান্ডা আবহাওয়ায় খেলে শরীর গরম থাকে এবং কাশি কমে

বিশেষ সতর্কতা:

ডায়াবেটিক রোগীরা মধু বা চিনি না দিয়ে গ্রহণ করবেন

দুধ হজমে সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো

অতিরিক্ত গ্রহণ এড়িয়ে চলুন

খেজুর ও দুধ শুধু শক্তির উৎসই নয়, বরং একটি কার্যকর প্রাকৃতিক প্রতিকার, বিশেষ করে ঠান্ডা ও কাশির সময়। সহজ রেসিপিতে ঘরেই বানিয়ে প্রতিদিন এক গ্লাস খেলে শরীর থাকবে সুস্থ ও সতেজ।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ