৪৪তম বিসিএসের পদ শূন্য, ফল সংশোধনের সম্ভাবনা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কর্তৃক ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হলেও পদ শূন্যতার বিষয়টি গরম আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গেজেট প্রকাশের পর অন্তত ৪২৪টি ক্যাডার পদ শূন্য থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, যা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
পদ শূন্য থাকার কারণ ও প্রভাব
পিএসসি জানিয়েছে, ৪৪তম বিসিএসে এক হাজার ৬৯০ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ৪২৪ জন রিপিট ক্যাডার, অর্থাৎ পূর্বের বিসিএসেও একই ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি রয়েছেন। রিপিট ক্যাডার থাকার কারণে পদগুলো শূন্য থেকে যাবে, কারণ এই প্রার্থীরা ইতিমধ্যে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত।
এই শূন্য পদ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, দীর্ঘ চার বছর ধরে অপেক্ষার পরও পদ ফাঁকা রাখাটা তাদের স্বপ্নের চাকরিতে প্রভাব ফেলছে। তাদের দাবি, রিপিট ক্যাডারের তথ্য যাচাই করে নতুন প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হোক এবং পদ সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে অধিক নিয়োগ করা হোক।
ফল সংশোধনের উদ্যোগ ও বিধি সংশোধন প্রস্তাব
চাকরিপ্রার্থীদের তীব্র চাপে পিএসসি এখন ফল সংশোধনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিধি সংশোধনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বিধিতে সংশোধনী হলে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশের সুযোগ সীমাবদ্ধ করা হবে, যাতে নতুন ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীরা সুযোগ পেতে পারেন।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান জানিয়েছেন, “নিয়োগবিধি সংশোধনের অনুমোদন পেলে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হবে, যা প্রার্থীদের জন্য নতুন আশা জাগাবে।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে এবং বিধি সংশোধনে সজাগ নজর দিচ্ছে। তারা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে, সংশোধনী প্রয়োগে কোনো আইনগত জটিলতা বা প্রশাসনিক সমস্যা না হয়। অনুমোদন মেললে দ্রুত ফল সংশোধন কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রার্থীদের দাবি ও আন্দোলন
৪৪তম বিসিএসে পদসংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ ও শূন্য পদ পূরণের দাবিতে প্রার্থীরা স্মারকলিপি, মানববন্ধন এবং অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। তারা সতর্ক করেছেন, দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবে।
একাধিক প্রার্থী দাবি করেন, পূর্ববর্তী বিসিএসগুলোর তুলনায় এই বিসিএসে পদ বাড়ানো হয়নি, বরং কমিয়ে শূন্য রাখা হয়েছে। এ অবস্থা দীর্ঘমেয়াদি প্রার্থীদের জন্য হতাশাজনক বলে মনে করছেন তারা।
৪৪তম বিসিএসের পদ শূন্য থাকার বিষয়টি এখন জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্ব পাচ্ছে। পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে ফল সংশোধন ও পদ বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে এটি হাজারো চাকরিপ্রার্থীর জন্য আশার আলো হয়ে উঠবে।
আল-আমিন ইসলাম/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আজ বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায় ও সময়সূচি
- এক কোম্পানির শেয়ার 'জেড' থেকে 'এ' ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- শোক সংবাদ: মারা গেলেন মুফতি আহমদুল্লাহ
- শেয়ারবাজারে আসছে বড় পরিবর্তন: ডিএসইর রেকর্ড ডেট প্ল্যান!
- 'জেড' থেকে 'এ' ক্যাটাগরি ও 'বি' থেকে 'জেড' ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর দুই কোম্পানির শেয়ার
- বিএনপিতে শোকের ছায়া: বিএনপি মহাসচিবের শোক প্রকাশ
- বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা: বি-ক্যাটাগরির ঝুঁকি, ৬ শেয়ারে অবিশ্বাস্য মুনাফা
- আগামীকাল শনিবার যে সকল এলাকায় ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
- দুই কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন
- লভ্যাংশ পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- এক কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- আর্সেনাল বনাম নটিংহাম ফরেস্ট: লাইভ দেখার উপায় ও সময়সূচি
- চলছে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- রেকর্ডের পর রেকর্ড! ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান
- এক পরিবর্তন নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ একাদশ ঘোষণা