ঢাকা, শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

পার্থে মিলানের তাণ্ডব: ৬১ মিনিটেই ৭ গোল, বিধ্বস্ত পার্থ গ্লোরি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ৩১ ১৭:৫৬:৫৮
পার্থে মিলানের তাণ্ডব: ৬১ মিনিটেই ৭ গোল, বিধ্বস্ত পার্থ গ্লোরি

নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্ট্রেলিয়ার পার্থে আয়োজিত একটি প্রস্তুতি ম্যাচে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী ক্লাব এসি মিলান দেখিয়েছে ভয়ংকর গোলস্রোত। ম্যাচের ৬১ মিনিট পর্যন্ত মিলান প্রতিপক্ষ পার্থ গ্লোরিকে ৭-০ ব্যবধানে পরাস্ত করে চলেছে। এই ম্যাচটি মূলত একটি ক্লাব ফ্রেন্ডলি হলেও মিলান যেভাবে খেলছে, তা যেন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচকেও হার মানায়।

ম্যাচের শুরুতেই গোলের মুখ খুলে ফেলে মিলান। মাত্র ৩ মিনিটেই ফিলিপ্পো তেরাচিয়ানো গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। এরপর ২৩ ও ২৭ মিনিটে দুইবার জালের দেখা পান নোয়া ওকাফর, যিনি এই ম্যাচে সবচেয়ে প্রাণবন্ত ফরোয়ার্ডদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ২৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৪-০ করেন তরুণ মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান কোমোত্তো। দুই মিনিট পরই স্যামুয়েল চুকওয়েজে গোল করে ব্যবধান বাড়ান।

দ্বিতীয়ার্ধে মিলান আবারও গোল দিয়ে শুরু করে। ৪৬ মিনিটে দলের হয়ে ষষ্ঠ গোলটি করেন রাফায়েল লেয়াও। আর ৫৮ মিনিটে সামুয়েলে রিচ্চির গোল দলের স্কোর ৭-এ পৌঁছে দেয়। এই মুহূর্তে ম্যাচ চলছে এবং পার্থ গ্লোরির পক্ষ থেকে এখনো কোনো উল্লেখযোগ্য আক্রমণ বা গোলের সম্ভাবনা তৈরি হয়নি।

খেলার গতিপ্রকৃতি বলছে, মিলান পুরো ম্যাচ জুড়ে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখেছে নিজেদের দখলে। তাদের পাসিং নিখুঁত, আক্রমণ ধারালো এবং প্রতিপক্ষকে সময় ও জায়গা দেওয়ার কোনো সুযোগই দেয়নি। পার্থ গ্লোরি মাত্র দুটি শট নিতে সক্ষম হয়েছে, যার মধ্যে একটি মাত্র ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে মিলান নিয়েছে ১৮টি শট এবং তার মধ্যে ৯টি ছিল সরাসরি গোলের উদ্দেশ্যে।

পাসিং এবং বল দখলের পরিসংখ্যানে মিলান পরিষ্কারভাবে এগিয়ে। তারা খেলায় আধিপত্য দেখিয়েছে ৬৬ শতাংশ বল দখলের মাধ্যমে এবং তাদের পাসিং সফলতা ছিল ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। অন্যদিকে পার্থ গ্লোরির পাসিং ছিল ছন্দহীন, তাদের বল দখলের হার মাত্র ৩৪ শতাংশ।

এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, মিলানের তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা একত্রে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছেন। নতুন মৌসুমের আগে এমন পারফরম্যান্স ক্লাবের জন্য ইতিবাচক সংকেত। নোয়া ওকাফর, লেয়াও, চুকওয়েজে, রিচ্চির মতো খেলোয়াড়রা নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। তাদের পারফরম্যান্স দেখে বোঝাই যাচ্ছে, কোচ মিলান স্কোয়াডে নতুন মুখগুলো নিয়ে আশাবাদী।

অন্যদিকে পার্থ গ্লোরির জন্য ম্যাচটি কঠিন শিক্ষা হয়ে উঠেছে। তাদের ডিফেন্স ছিল এলোমেলো, মাঝমাঠে কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না এবং আক্রমণে ছন্দহীনতা ছিল প্রকট। পুরো ম্যাচেই তারা কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি মিলানের রক্ষণে।

যদিও ম্যাচ এখনো চলমান, তবে ৬১ মিনিটেই ৭-০ গোলের ব্যবধান মিলানের শক্তিমত্তা এবং প্রস্তুতির পরিপূর্ণ চিত্র তুলে ধরে। ম্যাচের বাকি সময়ে গোল সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে যাই হোক, এই পারফরম্যান্স ইতোমধ্যেই ফুটবল বিশ্লেষকদের নজর কেড়েছে এবং মিলানের নতুন মৌসুমের জন্য একধরনের সতর্কবার্তাও পাঠিয়েছে প্রতিপক্ষ ক্লাবগুলোর কাছে।

ম্যাচ শেষে চূড়ান্ত ফলাফল, গোলদাতা ও বিশ্লেষণসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হালনাগাদ করা হবে। এখন পর্যন্ত এই প্রস্তুতি ম্যাচে এসি মিলান যে দাপট দেখিয়েছে, তা ক্লাবের ভক্তদের জন্য যেমন আনন্দের, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য আশারও প্রতীক।

আল-আমিন ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ