ঢাকা, শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

বার্সেলোনা-এফসি সিউল: ইয়ামালের জোড়া গোল, ১০ গোলের গোল বন্যা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ জুলাই ৩১ ১৯:০৮:৪৫
বার্সেলোনা-এফসি সিউল: ইয়ামালের জোড়া গোল, ১০ গোলের গোল বন্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত প্রীতি ম্যাচে বার্সেলোনা ও এফসি সিউলের মধ্যকার দ্বৈরথ যেন রূপ নিয়েছিল গোলের উৎসবে। ম্যাচটি শেষ হয়েছে ৭-৩ গোলের ফলাফলে, যেখানে বার্সেলোনার হয়ে ইয়ামাল করেন জোড়া গোল এবং আরও চারজন খেলোয়াড় গোল করেন। দুই দলের মিলিয়ে হয় মোট ১০টি গোল — যা প্রীতি ম্যাচের রোমাঞ্চকে করে তোলে অতুলনীয়।

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তসমূহ:

৮ মিনিটে গোলের সূচনা করেন বার্সার স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডোভস্কি

১৪ মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন লামিন ইয়ামাল

২৬ মিনিটে এফসি সিউলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন চো ইয়ং-উক

৪৫+১ মিনিটে ইয়াজান আল-আরাব গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরানোর চেষ্টা করেন

প্রথমার্ধের ৪৫+৩ মিনিটে ইয়ামাল করেন নিজের দ্বিতীয় গোল

দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার হয়ে ক্রমান্বয়ে গোল করেন:

৫৫’ মিনিটে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন

৭৪’ ও ৮৮’ মিনিটে ফেরান তোরেস

৭৬’ মিনিটে গাভি

শেষদিকে, ৮৫ মিনিটে এফসি সিউলের হয়ে একমাত্র দ্বিতীয়ার্ধের গোলটি করেন জুং হান-মিন।

দলগত পরিসংখ্যান (Paragraph Format)

ম্যাচটিতে বলের দখলের দিক দিয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। তারা পুরো ম্যাচে ৭৩ শতাংশ বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল, যেখানে এফসি সিউল ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ। বার্সার পাসিং সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো—তারা ৬৯৫টি পাস সম্পন্ন করেছে, যার মধ্যে সফল পাসের হার ছিল ৯৪ শতাংশ। অন্যদিকে, এফসি সিউল করেছে ২৬০টি পাস, যার সফলতা ছিল ৮১ শতাংশ।

শট নেওয়ার ক্ষেত্রেও বার্সেলোনা ছিল অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। বার্সা নিয়েছে ১৮টি শট, যার মধ্যে ১৩টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, সিউল ৯টি শট নেয় এবং তার মধ্যে মাত্র ৪টি ছিল অন-টার্গেট। ফাউলের হিসাবেও বার্সেলোনা করেছে ১০টি ফাউল, যেখানে এফসি সিউল করেছিল ৪টি। ম্যাচে একমাত্র হলুদ কার্ডটি দেখেছে সিউলের এক খেলোয়াড়। অফসাইডের ফাঁদে বার্সা একবারও পড়েনি, সেখানে সিউল চারবার অফসাইডে ধরা পড়ে। কর্নার কিকেও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা—বার্সা পেয়েছে ৪টি, আর সিউল পেয়েছে ৩টি।

এই পরিসংখ্যানগুলোই প্রমাণ করে, ম্যাচে সবদিক দিয়েই আধিপত্য ছিল বার্সেলোনার হাতে।

হাইলাইট: ইয়ামালের ঝলক

বার্সার উঠতি তারকা লামিন ইয়ামাল দেখিয়েছেন দারুণ আত্মবিশ্বাস ও গোল করার ক্ষুধা। তার জোড়া গোলই ম্যাচের গতি ও দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে। মাঠ জুড়ে তার গতি, ড্রিবলিং ও পজিশনিং ছিল প্রশংসনীয়।

কেন এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ?

এটি ছিল বার্সেলোনার প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির অংশ, যেখানে কোচ তরুণ ও মূল একাদশের খেলোয়াড়দের ফর্ম পরীক্ষা করছেন। লেভানডোভস্কি, গাভি, তোরেসদের পারফরম্যান্সও আশাব্যঞ্জক ছিল।

অন্যদিকে, এফসি সিউল তাদের ঘরের মাঠে বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নেমে দারুণ লড়াই করেছে। যদিও ফলাফল বড় ব্যবধানে গেছে, তবে আক্রমণভাগে তারা বারবার সুযোগ তৈরি করেছে।

এই প্রীতি ম্যাচটি শুধু একটি ফলাফল নয়, বরং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় তারকাদের আত্মপ্রকাশের এক মঞ্চ। বার্সেলোনার আক্রমণাত্মক কৌশল ও ইয়ামালের মতো তরুণদের পারফরম্যান্স ভবিষ্যতের জন্য শুভ লক্ষণ। ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এটি ছিল এক উত্তেজনাপূর্ণ সন্ধ্যা — যেখানে গোল ছিল, গতি ছিল, আর ছিল নিখুঁত বিনোদন।

আল-আমিন ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ