ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মানতে হবে যেসব শর্ত

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১২:৪৩:২৮
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মানতে হবে যেসব শর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলোচনা ও সমালোচনার পর, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্দেশ্যে গঠিত জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৪'-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এই খসড়াটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। সনদে ৮৪টি প্রস্তাব এবং ৮ দফা অঙ্গীকারনামা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ সরকার ব্যবস্থা ও জাতীয় সংসদের কাঠামো নির্ধারণ করবে।

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও মেয়াদের সীমাবদ্ধতা:

খসড়া অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীন কোনো ব্যক্তি তাঁর রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এছাড়া, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন। এই প্রস্তাবনাটি কার্যকর হলে সরকার ও দলের মধ্যে ক্ষমতার পৃথকীকরণ নিশ্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ:

জুলাই সনদে জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা আইন প্রণয়ন এবং শাসনব্যবস্থায় আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।সনদের খসড়ার বিভিন্ন অংশ:

জুলাই সনদের খসড়াটি মূলত তিনটি অংশে বিভক্ত:

প্রথম অংশ: সনদের পটভূমি বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।

দ্বিতীয় অংশ: এতে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা এবং ৮৪টি বিষয়ে ঐক্যমত্যের বিবরণ রয়েছে।

তৃতীয় অংশ: সনদ বাস্তবায়নের জন্য ৮-দফা অঙ্গীকারনামা উল্লেখ করা হয়েছে।

পটভূমি ও সংস্কারের লক্ষ্য:

সনদের পটভূমিতে বলা হয়েছে যে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের নীতিগুলো গত ৫৩ বছরেও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। খসড়ায় আরও উল্লেখ করা হয় যে, বিগত দেড় দশকে তৎকালীন সরকার সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস এবং বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসনকে দলীয়করণের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল, যা দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

শনিবার জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত এই খসড়াটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের শাসন ব্যবস্থায় একটি মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এই সনদের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার আনা হবে।

মো: রাজিব আলী/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ