
MD. Razib Ali
Senior Reporter
এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ে কার জয়!

পাকিস্তান বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দুই পেসার—শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁদের দুর্দান্ত বোলিং ভরসা জুগিয়েছে পাকিস্তানকে। তবে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে কি একইভাবে সফল হতে পারবেন তাঁরা?
পাওয়ারপ্লেতে বল হাতে আফ্রিদি সবসময়ই মারকাটারি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে তিনি মাত্র ১১ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট—শিকার করেন পারভেজ হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়কে। নতুন বলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার অভ্যাস তাঁর পুরোনো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম ছয় ওভারে তাঁর শিকার এখন ৫১ জন ব্যাটার, যা টেস্ট খেলুড়ে দেশের বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। টিম সাউদির ৬৫ উইকেট আছে এই তালিকার শীর্ষে।
ব্যাট হাতেও ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন আফ্রিদি। ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া পাকিস্তানকে তিনি ১৯ রানের দ্রুত ইনিংস খেলে স্থিতি ফেরান। ওই অবদানের জন্যই পান ম্যাচসেরার পুরস্কার। ক্যারিয়ারে এ নিয়ে দশবার ম্যাচসেরা হলেন তিনি, যা পেসারদের মধ্যে রেকর্ড। তাঁর নীচে আছেন জসপ্রীত বুমরা, যিনি ছয়বার এই স্বীকৃতি পেয়েছেন।
হারিস রউফকে নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। ওয়ানডে পরিসংখ্যানও সেটি প্রমাণ করে—ওয়ানডেতে তাঁর পাওয়ারপ্লে গড় ৩৫, আর সর্বশেষ বিশ্বকাপে ১৪ ওভারে মাত্র একটি উইকেট মিলেছিল।
কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে গল্পটা সম্পূর্ণ আলাদা। এখন পর্যন্ত ৯১ ইনিংসে বোলিং করা রউফ ৮১ ম্যাচেই অন্তত এক ওভার করেছেন পাওয়ারপ্লেতে। এর মধ্যে ২৮ ম্যাচে করেছেন দুই ওভার। এই পর্যায়ে তিনি গড়ে প্রতি ১৫ বলে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ৫০ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সেরা রেকর্ড। শীর্ষে আছেন উমর গুল, প্রতি ১৪ বলে উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব তাঁর।
বাংলাদেশের বিপক্ষে রউফ বল হাতে শুরুতে দেন ১৭ রান, তবে ফিরিয়ে দেন সাইফ হাসানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে। কিছুটা খরুচে হলেও তাঁর আঘাত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়েছিল।
গতি সবসময়ই রউফের বড় শক্তি। ৯০ মাইল গতির বলে তিনি বড় ম্যাচে নিয়মিত সাফল্য এনে দিয়েছেন—২০২২ এশিয়া কাপ ফাইনাল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল কিংবা মেলবোর্নে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ—সব জায়গাতেই পাওয়ারপ্লেতে উইকেট নিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে তাঁর সংগ্রহ ৩৪টি পাওয়ারপ্লে উইকেট, আফ্রিদির পরই সর্বোচ্চ।
প্রথমবারের মতো এবার এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান ও ভারত। ৪১ বছরের ইতিহাসে এর আগে ১৭টি আসর হলেও এমনটা ঘটেনি। ফাইনাল হবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে, যেখানে সাধারণত স্পিনাররা বেশি কার্যকর হন। কিন্তু এবারের টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের পেসাররাই এগিয়ে আছেন ব্রেকথ্রু এনে দিতে।
এখন পর্যন্ত পাকিস্তানি ফাস্ট বোলাররা নিয়েছেন ২৩ উইকেট, গড় ১৫.৯১। বিপরীতে স্পিনারদের উইকেট ১৮টি, গড় ১৯.৮৩। মাঝের ওভারে বল করার সুযোগ বেশি থাকায় স্পিনাররা কৃপণতা দেখালেও কার্যকারিতায় পেসাররা এগিয়ে।
সুপার ফোরে ওঠা দলগুলোর মধ্যে পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তানের পেস আক্রমণ সবচেয়ে কার্যকর। সর্বোচ্চ উইকেট, সেরা গড় আর সবচেয়ে কম ইকোনমি—সবই তাঁদের দখলে। ফলে ফাইনালে স্পিন-বান্ধব কন্ডিশনেও ভরসা হতে পারেন আফ্রিদি ও রউফ। প্রশ্ন একটাই—তাঁদের গতি ও সুইং কি ভারতের ব্যাটিং অর্ডারকে চূর্ণবিচূর্ণ করতে পারবে?
আল-মামুন/
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- চলছে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: ব্যাটিংয়ে ভারত, লাইভ দেখুন এখানে
- চলছে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখানে
- আজ ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: লাইভ দেখার সহজ উপায় ও সময়সূচি
- ৬ কোম্পানির রেকর্ড ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০% লভ্যাংশ ঘোষণা: ২৫% নগদ, ২৫% স্টক
- শেয়ারবাজারে ভয়ংকর প্রতারণা: অন্ধকারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ঝুঁকিতে বিনিয়োগকারীরা
- আগামীকাল ৪ কোম্পানির বোর্ড সভা, আসছে ডিভিডেন্ড
- কিছুক্ষণ পর ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ: লাইভ দেখবেন যেভাবে
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- মার্জার হওয়া ৫ ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা ফেরত নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
- শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস: ১১ কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত, সব শেষ!
- আগামীকাল আসছে পাঁচটি কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- বিমানবন্দর আটকে দেওয়া হয়েছে সোহেল তাজকে, জানা গেল কারণ
- ডিভিডেন্ড পেল ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ারবাজারে অবিশ্বাস্য উল্লম্ফন: রেকর্ড গড়েছে ৬ কোম্পানির শেয়ার