ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

আইপিও অনুমোদনে বিএসইসি'র যুগান্তকারী সংস্কার

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ২২:০১:০০
আইপিও অনুমোদনে বিএসইসি'র যুগান্তকারী সংস্কার

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বিএসইসি'র ৯৭৭তম কমিশন সভায় বিদ্যমান 'বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫' বাতিল করে তার পরিবর্তে 'বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিস) রুলস ২০২৫'-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই যুগান্তকারী পরিবর্তন পুঁজিবাজারের আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নেতৃত্বে চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ

কমিশন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় নতুন নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পদক্ষেপ দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশগুলোর ফলস্বরূপ, যা বাজারের উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

জনমত যাচাইয়ের জন্য উন্মুক্ত

সভা শেষে বিএসইসি'র পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন নীতিমালার খসড়া এখন জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট এবং দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ তাদের মূল্যবান মতামত প্রদানের সুযোগ পাবেন, যা চূড়ান্ত নীতিমালায় আরও সমৃদ্ধি আনবে।

স্টক এক্সচেঞ্জের সুপারিশ বাধ্যতামূলক

খসড়া ‘পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিস রুলস ২০২৫’ অনুযায়ী, কোনো কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে স্টক এক্সচেঞ্জের সুপারিশ গ্রহণ করবে বিএসইসি। এই নতুন বিধান আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করবে, যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জের পর্যবেক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জবাবদিহিতা বাড়ছে ইস্যুয়ার ও নিরীক্ষকদের

নতুন নিয়মে ইস্যুয়ার কোম্পানি, নিরীক্ষক (Auditors) এবং ইস্যু ম্যানেজারদের দায়দায়িত্ব ও ভূমিকার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে তাদের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে, যা সামগ্রিকভাবে শেয়ারবাজারের পরিবেশকে উন্নত করবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে।

ন্যায্য প্রাইসিং ও ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তি

বিএসইসি আশা করছে, প্রস্তাবিত নতুন রুলসটির মাধ্যমে আইপিও ভ্যালুয়েশন বা প্রাইসিংয়ের ক্ষেত্রে গুণগত উন্নয়ন হবে এবং বাজারে ন্যায্য প্রাইসিং (Fair Pricing) নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ন্যায্য প্রাইসিং নিশ্চিতের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো— ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করা। এর ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এবং লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন, যা দীর্ঘমেয়াদে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ও বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

তানভির ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ