ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

ভিসা আবেদনে নতুন নিয়ম, না জানলে পড়বেন বিপদে

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ০০:৫৩:০৩
ভিসা আবেদনে নতুন নিয়ম, না জানলে পড়বেন বিপদে

ঐতিহাসিক পরিবর্তন: ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ইউকে ভিসায় ইংরেজি দক্ষতার মানদণ্ড 'বি২' তে উন্নীত হচ্ছে

যুক্তরাজ্যে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় এক বিশাল পরিবর্তন অত্যাসন্ন। ২০২৬ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে চলেছে এই নতুন বিধিমালা। এর ফলে নির্দিষ্ট কিছু ভিসা শ্রেণির আবেদনকারীদের জন্য ইংরেজি ভাষার দক্ষতার স্তরকে আরও কঠিন করা হয়েছে। যেসব ভিসা ক্যাটাগরিতে এই পরিবর্তন আসছে তার মধ্যে রয়েছে দক্ষ কর্মীর ভিসা, বিভিন্ন প্রকারের গ্র্যাজুয়েট জব ভিসা এবং দ্রুত বর্ধনশীল শিল্পখাতের (‘স্কেল-আপ’) ভিসা। এখন থেকে এসব ভিসার জন্য আবেদনকারীদের ইউরোপীয় সাধারণ ভাষা কাঠামোর (CEFR) মানদণ্ড অনুযায়ী বি২ স্তরের ইংরেজি জানা আবশ্যক হবে। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত বি১ স্তরের দক্ষতাকেই যথেষ্ট বলে বিবেচনা করা হতো।

সরকারের উদ্দেশ্য: নিয়ন্ত্রিত ও গুণগত অভিবাসন

সরকারী সূত্র মারফত জানা গেছে, এই উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সরকার অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও সুসংগঠিত, স্বচ্ছ এবং মানগতভাবে উন্নত করতে চায়। এই নিয়মানুসারে, ভিসা প্রত্যাশীরা এখন অনুমোদিত সংস্থা বা বর্ডার এজেন্সির কাছে তাদের চারটি মৌলিক দক্ষতা— কথা বলা, শোনা, পড়া এবং লেখার ক্ষেত্রে উচ্চতর পারদর্শিতার প্রমাণ দেবেন।

এছাড়াও, যারা 'উচ্চ-প্রতিভা' (High Potential Individual) শ্রেণিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চান, তাদের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে। চলতি পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করলে তারা এই কঠোর ভাষাগত মানদণ্ড পূরণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

বাস্তবতার নিরিখে উদ্বেগ: অভিবাসন কমার আশঙ্কা

ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধির এই শর্তের কারণে প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে আগত অভিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে, অর্থাৎ লক্ষাধিক, হ্রাস পেতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিশেষত, যেসব মধ্যমানের কারিগরি ও ম্যানুয়াল কাজের জন্য উচ্চ স্তরের ইংরেজি দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, সেখানে অতিরিক্ত ভাষাগত শর্ত কর্মসংস্থানের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক ব্যাখ্যা এবং আইনি জটিলতা

প্রধানমন্ত্রী তাঁর শ্বেতপত্রে নতুন এই পরিকল্পনার উল্লেখ করেছেন, যা অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও সহজে ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেবে। তবে, অনেক আইনজীবী ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এই পরিবর্তনকে 'অস্পষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে দেখছেন। তাদের আশঙ্কা, প্রয়োজনীয় সহায়তা বা বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা না থাকলে, উচ্চতর ইংরেজি দক্ষতার শর্তের কারণে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ও শ্রমবাজারে অবদান রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

তানভির ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ