ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২

Alamin Islam

Senior Reporter

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত দুই ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়

শেয়ারনিউজ ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ২১:৫৯:০৯
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত দুই ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়

হজ ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ অর্থ সৌদি আরবে পাঠানোর নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করায় কঠোর অবস্থানে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০২৬ সালের হজের সৌদি পর্বের খরচ নির্বাহের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রদর্শিত গাফিলতির জন্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কাছে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সূত্রমতে, এই অর্থ সংক্রান্ত ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি উভয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে আলাদাভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশ অমান্য

প্রেরিত পত্রে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছিল যে, প্রতিটি এজেন্সির হজযাত্রীর মোট সংখ্যার নিরিখে, হজযাত্রী প্রতি ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ১৭০ টাকা হারে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গত ২৭ অক্টোবরের মধ্যে 'এজেন্সি পিলগ্রিমস ফান্ড পে অ্যাবল টু কেএসএ' শিরোনামের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

হজ প্রক্রিয়ায় 'বড় অন্তরায়'

এই ব্যর্থতার কারণে সৌদি আরবে হজ সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের জন্য অর্থ প্রেরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, নির্ধারিত সময়ে অর্থ স্থানান্তর না হওয়া গোটা হজ প্রক্রিয়ার জন্য একটি 'বড় অন্তরায়' হিসেবে কাজ করছে।

তাৎক্ষণিক স্থানান্তর ও জবাব তলব

পরিস্থিতি মোকাবিলায়, দ্রুততার সাথে ওই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ মন্ত্রণালয়ের উল্লিখিত ব্যাংক হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সময়মতো কেন এই অর্থ জমা দেওয়া হয়নি, সে বিষয়েও ব্যাংক দুটির কাছ থেকে অবিলম্বে লিখিত জবাব চেয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সম্পূর্ণ দায়ভার ব্যাংকের

প্রেরিত সতর্কবার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থ স্থানান্তরে সৃষ্ট দীর্ঘসূত্রিতার ফলে সৌদি আরবে যদি অর্থ প্রেরণে বিলম্ব হয় এবং এর জেরে মিনা-আরাফায় তাঁবু বুকিং, পরিষেবা সংস্থা নির্বাচন, আবাসন বা হোটেল ভাড়াসহ সৌদি পর্বের অত্যাবশ্যকীয় খরচ মেটানোর ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয়, তবে তার সম্পূর্ণ ও একক দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যাংককেই নিতে হবে।

তানভির ইসলাম/

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ