ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে অলস ১০জন ক্রিকেটারের মধ্যে ২জন বাংলাদেশি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ মে ১১ ১০:৪৯:০৩
ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে অলস ১০জন ক্রিকেটারের মধ্যে ২জন বাংলাদেশি

আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ১০ জন অলস ক্রিকেটার; তালিকায় রয়েছেন দুই বাংলাদেশী! এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-

ইউসুফ পাঠান: ইউসুফ পাঠান আ’ক্রমনাত্মক ব্যাটিং স্টাইল বিখ্যাত হন কিন্তু তার দৌড়ানোর গতি খুবই মন্থর ছিল। ব্যাটিংয়ের সময় বড় বড় শট খেলে রানের ঘাটতি পূরণ করতেন, তবে ফিল্ডিংয়ের সময় তার অভাব সকলের প্রকাশ্যে আসে। সম্প্রতি তার ব্যাটও আগের মতো জ্বলে ওঠে না, এই কারনেই হয়তো তিনি আইপিএল থেকে বাদ পড়েছেন।

ক্রিস গেইল: বিশ্বের অন্যতম সেরা বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল, যিনি উইকে’টের মধ্যে দৌড়াতে মোটেও পছন্দ করেন না। তিনি দৌড়ে সি’ঙ্গেল কিংবা দুই রান নেওয়ার থেকে বলটিকে মাঠের বাইরে পাঠাতে বেশি আস্থা রাখেন। ফিল্ডিংও খুব বাজে তার। সম্ভবত তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলের সবচেয়ে অলস ক্রিকেটার হিসেবে গণ্য হন।

সৌম্য সরকার: বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। তার ধা’রাবাহিক পারফরম্যান্স নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ‘হতে হয় তাকে। সে এমন ই একজন অলস ক্রিকেটার এক ম্যাচ ভালো করবে তো দশ ম্যাচ রান খরায় থাকবে।

সুনীল নারিন: এই তালিকায় আরও এক ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় রয়েছেন সুনীল নারিন। ব্যাটিং এর সময় তার ৯০% রান বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আসে। বোলিং স্টাইলও মন্থর। এমনকি উইকেট নেওয়ার পর তাকে খুব একটা উত্তেজিত ‘হতে দেখা যায় না। তবে টি-টোয়েন্টির একজন দুর্দান্ত ক্রিকেটার ও তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেন।

শেন ওয়ার্ন: বিশ্বের সেরা লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নও তার অলসতার পরিচয় দিয়েছিলেন। উইকেট এর মধ্যে হোক কিংবা ফিল্ডিংয়ের জন্য তিনি কখনোই দৌড়াতে পছন্দ করতেন না। তার সময়ে তিনি সেরা বোলার ছিলেন বলে তার ফিল্ডিং নিয়ে কেউ কখনো অ’ভিযোগ তোলেন নি।

ডোয়াইন লিভারক: বারমুডার এই বিশালদে’হী খেলোয়াড় ডোয়াইন লিভারক মন্থর গতিতে ছুটতেন বলে স্লিপে দাঁড়াতে পছন্দ করতেন। তবে এই খেলোয়াড় ২০০৭ বিশ্বকাপে স্লিপ পজিশনে একটি একটি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন।

অর্জুন রানাতু’ঙ্গা: শ্রীলংকার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রানাতু’ঙ্গাও মাঠে অলস খেলোয়াড়দের মধ্যে গণ্য হয়েছিলেন। উইকে’টের মধ্যে হোক কিংবা মাঠের মধ্যে খুবই মন্থর গতিতে দৌড়াতেন। এই কারণে তাকে নিয়ে প্রায়শই অন্যান্য শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়দেরও মজা করতে দেখা গেছে।

ইনজামাম-উল-হক: ইনজামাম-উল-হক পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান হলেও দৌড়ানো তার একেবারেই পছন্দ ছিল না। মন্থর গতিতে দৌড়ানোর জন্য তিনি ওয়ানডে ক্রিকে’টে মোট ৪০ বার রান আউট হয়েছেন। এমনকি ফিল্ডিংয়ের সময় বলটিকে দৌড়ে ধ’রার জন্য অন্যান্যদের ইশারা করতেন।

লিটন দাস: বর্তমান বাংলাদেশের উইকেট কিপার এবং ব্যাটসম্যান। সৌম্যের মত তারও কোন ধা’রাবাহিকতা নাই পারফরমন্স নিয়ে। তার কাজ হচ্ছে ব্যাট করতে নামবে আর উঠবে। শেষ ৬ ম্যাচে তার সংগ্রহ মাত্র ৫০ রান।

মো হা’ম্ম’দ ইরফান: বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ক্রিকেটার পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার মো হা’ম্ম’দ ইরফান। তার দীর্ঘ চেহারার জন্য তার গতি কিছুটা মন্থর হয়। তিনি বাউন্ডারি ধারে বেশিভাগ বল আট’কাবার সময় পা ব্যবহার করতেন। পাকিস্তানকে এর ফল ভোগ করতে হয়েছে বহুবার।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ