ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

জাতীয় দলে আসার জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে: মিঠুন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ মে ১৭ ১১:৪৮:১২
জাতীয় দলে আসার জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে: মিঠুন

সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়েও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাইফ হাসান। তরুণ এই ওপেনার এনসিএল, বিসিএল, ইমার্জিং দলের খেলার মত শীর্ষ পর্যায়ের মঞ্চে আলো ছড়িয়ে সুযোগ পান জাতীয় দলে। তবে শ্রীলঙ্কা সফরে ভালো না করায় কম সমালোচনা সহ্য করতে হয়নি।

এই চিত্র শুধু সাইফের ক্ষেত্রেই নয়। খারাপ করলে এমন হয় তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের সাথেও। মিঠুনের চাওয়া, সমর্থকরা তাদের এই মনোভাব বদলাবেন।

তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে এমন অনেক হয়েছে- একটা সিরিজে কোনো ম্যাচ না খেলেই পরের সিরিজে আবার বাদ পড়ে গেছি। এখন তো সিস্টেমটা অনেক ভালো হয়েছে। এখন একজন খেলোয়াড় আনলে তাকে নিজের সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ করে দিচ্ছে। আগে কিন্তু এই কালচার (সংস্কৃতি) ছিল না। কিন্তু মানুষেরা ঐ কালচারেই থেকে গেছে।’

শীর্ষ পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা থাকে বলেই নির্বাচকরা সুযোগ পাইয়ে দেন জাতীয় দলে। তাই সামর্থ্য প্রমাণের জন্য বিশ্বাস রাখাও জরুরী। মিঠুনের ভাষায়, ‘একজন খেলোয়াড় খুব সম্ভবনাময়, এক ম্যাচ খেলেছে, খারাপ খেলেছে, তখনই বলছে ওকে বাদ দেয় না কেন। এভাবে আপনি কখনই ভালো খেলোয়াড় খুঁজে পাবেন না।

ভালো খেলোয়াড় পেতে হলে, একটা খেলোয়াড়ের সেরাটা বের করে আনতে হলে অবশ্যই তাকে যথেষ্ট সুযোগ দিতে হবে। কারণ সে একদিন-দুইদিনের নিবেদনে জাতীয় দলে আসেনি। জাতীয় দলে আসার জন্য তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।’

মিঠুন আরও বলেন, ‘আমি মনে করি না কাউকে একদিন দুইদিন দেখে বাদ দিয়ে দেওয়া উচিৎ। কারণ আমাদের দেশে শচীন টেন্ডুলকারও নেই, ডন ব্র্যাডম্যানও নেই। যাকে সেরা ভাবছেন তাকেই তো দলে আনছেন।

আনার পর যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া উচিৎ পারফর্ম করার জন্য। কেউ কিন্তু একদিন দুইদিনে তৈরি হয়নি। আজকে সাকিব আল হাসান তাকে ১২-১৩ বছর ক্রিকেট খেলতে হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রেও তাই। কেউ ১৪ বছর, কেউ ১৫ বছর ক্রিকেট খেলেছে।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ