ঢাকা, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ জনের স্কোয়াড থেকে পাঁচজন বোলার খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেটনিউজ
২০২১ নভেম্বর ১৮ ১৭:১২:৩১
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ জনের স্কোয়াড থেকে পাঁচজন বোলার খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ

জুম কনফারেন্সের শেষ ভাগে প্রশ্ন উঠেছিল, ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগে ১২ জনের দল সাজানোর সংস্কৃতিটা কবে চালু হবে? কিংবা আদৌ হবে কি? বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সরাসরি হ্যাঁ বলতে পারেননি, নাও করেননি। শুধু বলেছেন, দেখা যাক। তার কথা শুনে আর মুখাবয়ব দেখে মনে হয়নি একাদশ চূড়ান্ত।

তা হবেই বা কী করে? বিশ্বকাপের চরম ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ যে ১৬ জনের স্কোয়াড সাজিয়েছে, সেখান থেকে ১১ জনকে নিয়ে দল সাজালে যে ৫ জন স্পেশালিস্ট বোলার খুঁজে পাওয়াই কঠিন। ভাবছেন এ আবার কেমন প্রশ্ন?

দলে চার পেসার (মোস্তাফিজ, তাসকিন, শরিফুল আর শহিদুল) আর দুই স্পিনার তো (নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদি) আছেন। পাশাপাশি আফিফ হোসেন ধ্রুব বল করেন, শামীম পাটোয়ারীরও হাত ঘোরানোর অভ্যাস আছে। আর কাঁধের-পিঠের ব্যথা সমস্যা না করলে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রায় নিয়মিতই বোলিং করেন। ইনজুরির কারণে তিনি বিশ্বকাপে বোলিং করেননি।

এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের আগে তাকে নেটেও বোলিং করতে দেখা যায়নি। এখন তিনি কি শুক্রবার হুট করে ম্যাচে বল হাতে তুলে নেবেন? যদি সেটা নেন, তাহলে ভিন্ন কথা। অন্যথায় পরিষ্কার, বাংলাদেশের ৫ বোলার ধরে একাদশ সাজানোই কঠিন।

যেহেতু সাকিব আর সাইফউদ্দীন নেই, তাই দলে বোলার সংকট। আবার বলি স্কোয়াডে মোস্তাফিজ-তাসকিনের সঙ্গে পেসার কোটায় শরিফুল আর শহিদুলও আছেন। একইভাবে বাঁহাতি নাসুম আহমেদের সঙ্গে অফস্পিনার শেখ মেহেদিকেও রাখা হয়েছে।

এখন যদি প্রথাগত একাদশ সাজানো হয়, তাহলে দলে একজন বোলার কম হয়ে যায়। অধিনায়ক নিয়মিত বোলিং করলে কোনো সমস্যা হতো না। কিন্তু তিনি বোলিং না করলে পঞ্চম বোলার বের করা খুব কঠিন। সেক্ষেত্রে হাঁটতে হতে পারে বিকল্প পথে। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে কী সেই বিকল্প পথ?

তাহলে শুনুন, এখন দলে যে সব ক্রিকেটার আছেন, তাদের মধ্য থেকে শেরে বাংলার উইকেট উপযোগী একাদশ সাজাতে হলে কিছুতেই দুইজনের বেশি পেসার খেলানোর কথা নয়। কিন্তু এখন বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্টের সামনে পথ খোলা আছে খুবই কম।

এক. মোস্তাফিজ-তাসকিনের সঙ্গে পেসার হিসেবে শরিফুল আর শহিদুলের মধ্য থেকে (সব হিসেব-নিকেশ আর সমীকরণে অবশ্যই শরিফুল) একজনকে খেলাতে হবে।

দুই. ইয়াসির আলী রাব্বিকে না খেলিয়ে শামীম পাটোয়ারী বা লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে ১১ জনে রাখতে হবে। এর বাইরে গিয়ে একাদশ সাজালে পাঁচজন স্বীকৃত বোলারই হয় না।

ভাবছেন তা কেন হবে? হবে এই কারণে যে, এমনিতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ এরকম- নাইম শেখ, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইয়াসির আলী রাব্বি, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।

রিয়াদ যেহেতু বোলিং করছেন না, তাই ওপরের ১১ জনে প্রতিষ্ঠিত বোলার আছেন মোটে চার জন। নাইম, শান্ত, ইয়াসির, সাইফ ও সোহান বোলার নন। আফিফ পুরো ৪ ওভার বল করলেই কেবল পঞ্চম বোলারের দেখা মিলবে। নয়তো ইয়াসির রাব্বিকে বাইরে রেখে শামীমকে খেলাতে হবে। শামীমও মাঝেমধ্যে অফস্পিন করেন। তখন শামীম আর আফিফ মিলে হয়তো ৪ ওভার চালিয়ে দিতে পারবেন।

আর যদি তা না করা হয়, তখন মোস্তাফিজ-তাসকিনের সঙ্গে তৃতীয় পেসার খেলাতে হবে। ধরে নেয়া যাক, সেটা হতে পারেন শরিফুল। তখন একাদশে ৫ জন বোলার হয়। আর না হয় তিন পেসার ফর্মুলায় না গিয়ে নাসুম আর মেহেদির সাথে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে আমিনুল বিপ্লবকে দলভুক্ত করতে হবে। তাহলেও একাদশে ৫ বোলার থাকবে। না হয় ‘লেজেগোবড়ে’ অবস্থা হবে।

আর সেটা হয়েছে সাকিব-সাইফউদ্দীনের মতো দুই অলরাউন্ডার না থাকায়। ঐ দুই অলরাউন্ডারের একজন থাকলে সমস্যা হতো না। এখন পাঁচ স্বীকৃত বোলার রেখে একাদশ সাজানো কিন্তু কঠিন। এই জায়গায় শুভাগত হোমের মতো অলরাউন্ডার থাকলে সমস্যা হতো না। কিন্তু দুজন অলরাউন্ডারের বদলে দলে বাড়তি অলরাউন্ডার নেয়াই হয়নি। এখন একাদশ সাজাতে সমস্যা তো হবেই।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ