ভাগ্যগুণে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা

তবে সত্যিকার অর্থে তিন ম্যাচের প্রায় দুটিতেই হেরেছে টাইগাররা। প্রথম এবং তৃতীয় ওয়ানডেতে দল হিসেবে টাইগারদের পারফরম্যান্স ছিল একদম যাচ্ছেতাই।আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচতো নিশ্চিত হারের মুখ থেকে কোনো ভাবে বের হয়ে এসেছিল টাইগাররা। একসময় ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
সে জায়গা থেকে ম্যাচ জেতার পুরো কৃতিত্ব আফিফ এবং মিরাজেরই। দলগত পারফরম্যান্স বিচার করলে ৬ উইকেট পড়ার সাথে সাথেই হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে আফগানরা কখনোই খুব সমীহ করার মতো একটি দল হয়ে উঠতে পারেনি। সেই দলের বিপক্ষেই টাইগারদের এই ধরনের পারফরম্যান্স খুবই হতাশাজনক।
বলা যেতেই পারে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ভালো খেলেনি, ভালো খেলেছে আফিফ এবং মিরাজ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অবশ্য প্রথমে ব্যাট করে বেশ বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের কন্ডিশনে ৩০৭ রান পাহাড় সমান লক্ষ্য। তবে সে লক্ষ্যটি আরো অনেক বড় হতে পারতো, এ ম্যাচে ফিনিশিংয়ে চরম রকমের ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা।
৩৫ ওভার শেষে ১৯৫ রানে ২ উইকেট ছিল বাংলাদেশের স্কোর। সেখান থেকে যেকোনো বড়দল ৩৫০ রান অনায়াসেই করবে। এ অবস্থান থেকে কোনভাবেই ৩৩০ এর নিচে স্কোর চিন্তা করা যৌক্তিক নয়। তবে ৫০ ওভার শেষে টাইগারদের স্কোর ছিল ৩০৭। পরপর দুই বলে লিটন-মুশফিক আউট হয়ে যাওয়াতে ক্রিজে নতুন দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ এবং আফিফ আসে। ফলে রানের গতিতে কিছুটা ভাটা পড়বে তাই স্বাভাবিক তবে তাই বলে শেষ চার ওভারে মাত্র ২২ রান কিভাবে হয়।
এ পরিস্থিতিতে আফিফের ১২ বলে ১৩ এবং মাহমুদুল্লাহ মতো সিনিয়র একজন ক্রিকেটারের নয় বলে ছয় রান খুবই দৃষ্টিকটু লেগেছে। প্রথম এবং তৃতীয় ওয়ানডের তুলনায় অবশ্য দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বেশ ভাল খেলেছে টাইগাররা। তৃতীয় ওয়ানডের হিসেবে যদি আসা হয় তাহলে আর খুব বেশি কিছু বলার থাকেনা। কি বোলিং কি ব্যাটিং কোন কিছুতেই আফগানিস্তানের মতো একটি দলের সাথেও ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি টাইগাররা।
অথচ নিজেদের দেশের মাটিতে অনায়াসেই আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করবে বলে আশাবাদী ছিল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪৬.৫ ওভারে ১৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় টিম টাইগার্স। ১৯৩ রানের লক্ষ্য ৭ উইকেট এবং ৫৯ বল হাতে রেখেই টপকে যায় আফগানিস্তান। অর্থাৎ এখানে উইকেটের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই, আফগানদের ব্যাটিং দেখলেই বোঝা যাবে যে তারা বিন্দুমাত্র দ্বিধাগ্রস্ত ছিলনা।
বেশ সাবলীলভাবেই লক্ষটি তাড়া করে জিতেছে আফগানরা। এখানে প্রশ্ন আসতেই পারে আমরা বাংলাদেশকে ঠিক যতটা ভালো দল মনে করি টাইগাররা কি এখনো ওই কাতারে যেতে পেরেছে?সামনে আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, নিজেদের প্রিয় ফরমেটেই আফগানদের সাথে ভাগ্যগুণে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
এ বাংলাদেশ দলকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো কিছু আশা করাটা কি যৌক্তিক? রেংকিং শক্তিমত্তা কিংবা সাম্প্রতিক ফর্ম সবকিছুর বিচারেই সিরিজ শুরুর আগে এগিয়ে থাকবে আফগানরা। তবুও সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশের উপর। সমর্থকদের এত আশা প্রত্যাশার কেমন প্রতিদান দিতে পারবে টাইগাররা তা সময়ই বলে দিবে।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- ৮ প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণা, ছয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা খেলো ধাক্কা
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবির বিশেষ তহবিল থাকবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বাঁচা মরার ম্যাচ
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি
- বীমা খাতে সুবাতাস, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন