বায়োবাবল না থাকায় ডিপিএল খেলতে রাজি হয়েছি : হাফিজ

তারকা অলরাউন্ডার হাফিজ জৈব সুরক্ষা বলয়ের বিপক্ষে নন, তবে বলয় তথা বায়োবাবলের ক্ষতিকর দিক ভাবিয়ে তুলেছে তাকে। ডিপিএলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে খেলা, যেখানে নেই বায়োবাবলের কড়াকড়ি। স্বাভাবিক জীবনযাপন করেই ক্রিকেটাররা খেলা চালিয়ে যেতে পারছেন। এই বিষয়টিই হাফিজকে ডিপিএল খেলার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে।
তিনি বলেন, ‘বায়োবাবল না থাকায় আমি চুক্তি করতে রাজি হয়েছি (হাসি)। এটা বড় কারণ ছিল না, আবার সূক্ষ্ম কারণও ছিল। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম- ওখানে কি বায়োবাবল থাকবে? যখন জানলাম নেই, আমি বললাম- ঠিক আছে, আমি আসব।’
হাফিজ মূলত বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও জীবনাচরণ উপভোগ করতে চেয়েছেন। এখানকার মানুষের ধর্মভীরুতা মন কেড়েছে ৪১ বছর বয়সী ক্রিকেটারের। বাংলাদেশের পথঘাট নিজ পায়ে মাড়িয়ে অভিজ্ঞতা নিতে চেয়েছেন, বাঁধনহীন হয়ে ঘুরতে চেয়েছেন। তাই জৈব সুরক্ষা বলয়ে আবদ্ধ থাকতে চাননি মোটেও।
তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই এখানে এসে সময়টা উপভোগ করতে চেয়েছিলাম; এখানকার সংস্কৃতি, বিশেষ করে মুসলিম সংস্কৃতি- যা এখানকার মানুষ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে। এখানে কোনো বাঁধা ছাড়া ঘুরতে চেয়েছি। সাথে নিজের ক্রিকেটটাকে উপভোগ করতে চেয়েছি।’
হাফিজ মনে করেন, বায়োবাবল না থাকায় ডিপিএল অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের কাছে টুর্নামেন্টটি উপভোগ্য হয়ে উঠবে, ‘বায়োবাবল বরাবরই কঠিন। এটা আপনার ওপর চড়ে বসে। এই লিগে সেটা নেই এজন্য ক্রিকেটাররা নিশ্চিতভাবেই উপভোগ করবে। পাশাপাশি শতভাগ দিয়ে পারফর্ম করতে পারবে।’
জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলা চালিয়ে যাওয়া কেন কঠিন, সেই কারণও খোলাসা করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সদ্য অবসর নেওয়া এই সুপারস্টার। করোনা আসার পর দীর্ঘ দিন খেলা বন্ধ থাকার পর ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে সেই বিরতি কাটিয়েছিল পাকিস্তান। সেই সফর কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিল হাফিজদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকে মানুষ। আমি বায়োবাবল নিয়ে ২০২০ সালে এই পয়েন্টটা তুলে ধরেছিলাম যখন আমরা আড়াই মাস ইংল্যান্ড সফরে ছিলাম পরিবার ছাড়া। আমরা জানতাম, যখন এটা শুরু হলো তখন কতটা কঠিন ছিল। মানসিকভাবে এটি আপনাকে যেকোনো সময় ভেঙে ফেলতে পারে। খুব নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থেকে আপনি নিজেকে মানুষ হিসেবে ভাবতে পারবেন না। প্রত্যেকের স্বাধীনতার দরকার আছে।’
তবে বায়োবাবল যে যৌক্তিক কারণেই রাখা হয়, তা-ও মানছেন হাফিজ। তিনি বলেন, ‘আমি মোটেও বায়োবাবলের বিপক্ষে নই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে জীবন যাপন করতে হবে, আমাদের কী কী অনুসরণ করতে হবে। আমরা প্রায় সবাই ভ্যাকসিন নিয়েছি।’
জৈব সুরক্ষার বলয় থেকে বের হয়ে এসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়ে হাফিজ আশা প্রকাশ করেন, একসময় আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকেও জৈব সুরক্ষা বলয় উঠে যাবে।
হাফিজ আরও বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমার আনন্দের দরকার, মজার দরকার। আপনার পারফরম্যান্স খারাপ হলে আপনি কখনোই আবদ্ধ থাকতে চাইবেন না। আপনি বাইরে গিয়ে পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মিশে নিজেকে সতেজ করতে চাইবেন। আশা করছি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বায়োবাবল প্রথা উঠিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে।’
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে কারসাজির চক্র: দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দামে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন
- শেষ হলো মেলবোর্ন স্টার্স বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জায়গা পেলেন যারা
- ৩ কোম্পানির কারখানায় ঝুলছে তালা, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- এশিয়া কাপ ২০২৫: তিন ওপেনার নিয়ে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা
- ভারত বনাম বাংলাদেশ : ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- রপ্তানি আয়ের ৮ হাজার কোটি টাকা গায়েব: কেয়া গ্রুপ ও চার ব্যাংককে তলব
- বদলে গেল ফোনের ডায়াল প্যাড, জানুন আসল কারণ ও আগের অবস্থায় ফেরানোর উপায়
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: গোল, গোল, ৮০ মিনিটের খেলা শেষ
- বদলে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড, আতঙ্ক নয় সমাধান আছে, জেনে নিন
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বড় চমক, বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড চূড়ান্ত
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস
- মালয়েশিয়া প্রবাস: যেভাবে আবেদন করবেন সম্পূর্ণ বিনা খরচে
- ভারত বনাম বাংলাদেশ: প্রথমার্ধের খেলা শেষ, জানুন সর্বশেষ ফলাফল
- গুজব না সত্য: যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হাসিনার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি